পাতা:প্রজাপতির নির্বন্ধ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫৮
প্রজাপতির নির্ব্বন্ধ।

দিন থেকে আমার মনে হচ্চে আমরা যে সংকল্প গ্রহণ করেছি সে সংকর আমাদের দ্বারা সফল হবে না—অতএব আমাদের স্বভাবসাধ্য অন্য কোন রকম পথ অবলম্বন করাই শ্রেয়।

 শ্রীশ। এ কোন কাজের কথা নয়। বিপিন তোমার তম্বুরা ফেল—

 বিপিন। আচ্ছা ফেল্লুম, তাতে পৃথিবীর কোন ক্ষতি হবে না।

 শ্রীশ। চন্দ্র বাবুর বাসায় আমাদের সভা তুলে নিয়ে যাওয়া যাক্―

 বিপিন। উত্তম কথা।

 শ্রীশ। আমরা দুজনে মিলে রসিক বাবুকে একটু সংযত করে রাখ্‌ব।

 বিপিন। তিনি একলা আমাদের দুজনকে অসংযত করে না তোলেন।

দ্বিতীয় ভৃত্যের প্রবেশ।

 ভৃত্য। একটি বুড়ো বাবু এসেছেন।

 বিপিন। বুড়ো বাবু? জ্বালালে দেখ্‌চি! বনমালী আবার এসেছে!

 শ্রীশ। বনমালী?সে যে এই খানিকক্ষণ হল আমার কাছেও এসেছিল!

 বিপিন। ওরে, বুড়োকে বিদায় করে দে।

 শ্রীশ। তুমি বিদায় করলে আবার আমার ঘাড়ের উপর গিয়ে পড়বে। তার চেয়ে ডেকে আনুক্ আমরা দুজনে মিলে বিদায় করে দিই। (ভৃত্যের প্রতি) বুড়োকে নিয়ে আয়!

রসিকের প্রবেশ।

 বিপিন। একি! এত বনমালী নয়, এযে রসিক বাবু!

 রসিক। আজ্ঞে হাঁ,—আপনাদের আশ্চর্য্য চেনবার শক্তি—আমি বনমালী নই। ধীর সমীরে যমুনা তীরে বসতি বনে বনমালী―

 শ্রীশ। না রসিক বাবু, ও সব নয়, রসালাপ আমরা বন্ধ করে দিয়েছি!