রসিক। (স্বগত) ঐরে শুরু হ’ল? আমার লেমনেডে কাজ নাই! (প্রকাশ্যে) মাপ করবেন, আমায় কিন্তু এখনি উঠতে হচ্ছে!
শ্রীশ। বলেন কি?
বিপিন। সে কি হয়?
রসিক। সেই ছেলে দুটোকে ভুল ঠিকানা দিয়ে আস্তে হবে নইলে—
শ্রীশ। বুঝেছি, তা হলে এখনি যান্!
বিপিন। তা হলে আর দেরি করবেন না!
(১৪)
নির্ম্মল বাতায়নতলে আসীন। চন্দ্রের প্রবেশ।
চন্দ্র। (স্বগত) বেচারা নির্ম্মল বড় কঠিন ব্রত গ্রহণ করেছে। আমি দেখচি ক’দিন ধরে ও চিন্তায় নিমগ্ন হয়ে রয়েছে; স্ত্রীলোক, মনের উপর এতটা ভার কি সহ্য কর্তে পারবে? (প্রকাশ্যে) নির্ম্মল!
নির্ম্মলা। (চমকিয়া) কি মামা!
চন্দ্র। সেই লেখাটা নিয়ে বুঝি ভাবচ? আমার বোধহয় অধিক না ভেবে মনকে দুই একদিন বিশ্রাম দিলে লেখার পক্ষে সুবিধা হতে পারে।
নির্ম্মলা। (লজ্জিত হইয়া) আমি ঠিক ভাবছিলুম না মামা। আমার এতক্ষণ সেই লেখায় হাত দেওয়া উচিত ছিল, কিন্তু এই ক’দিন থেকে গরম পড়ে দক্ষিণে হাওয়া দিতে আরম্ভ করেছে, কিছুতেই যেন মন বসাতে পারচিনে—ভারি অন্যায় হচ্চে আজ আমি যেমন করে হোক্—
চন্দ্র। না, না, জোর করে চেষ্টা কোরো না। আমার বোধ হয় নির্ম্মল, বাড়িতে কেউ সঙ্গিনী নেই, নিতান্ত একলা কাজ করতে তোমার শ্রান্তি বোধ হয়। কাজে দুই একজনের সঙ্গ এবং সহায়তা না হলে—