চলে যায় বেলা, রেখে মিছে খেলা
ঝাঁপ দিয়ে পড় কালো নীরে।
অকূল ছানিয়ে যা’ পাস্ তা’ নিয়ে
হেসে কেঁদে চল ঘরে ফিরে!
মনে হচ্ছিল এর সুরটা যেন জানি গাবার যো নেই!
বিপিন। জিনিষটা মন্দ নয় হে—তোমার কবি লেখে ভাল! ওহে ওর পরে আর কিছু নেই? যদি সুরু করলে ত শেষ কর!
শ্রীশ।
নাহি জানি মনে কি বাসিয়া
পথে বসে আছে কে আসিয়া!
যে ফুলের বাসে অলস বাতাসে
হৃদয় দিতেছে উদাসিয়া,
যেতে হয় যদি চল নিরবধি
সেই ফুলবন তলাসিয়া!
বিপিন। বাঃ বেশ! কিন্তু শ্রীশ, শেল্পের কাছে তুমি কি খুঁজে বেড়াচ্চ?
শ্রীশ। সেই যে সে দিন যে বইটাতে দুটি নাম লেখা দেখেছিলাম, সেইটে—
বিপিন। না ভাই, আজ ওসব নয়!
শ্রীশ। কি সব নয়?
বিপিন। তাঁদের কথা নিয়ে কোন রকম—
শ্রীশ। কি আশ্চর্য্য বিপিন। তাঁদের কথা নিয়ে আমি কি এমন কোন আলোচনা করতে পারি যাতে—
বিপিন। রাগ কোরো না ভাই—আমি নিজের সম্বন্ধেই বলছি, এই ঘরেই আমি অনেক সময় রসিক বাবুর সঙ্গে তাঁদের বিষয়ে যে ভাবে