পাতা:প্রজাপতির নির্বন্ধ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রজাপতির নির্ব্বন্ধ।
১৭১

 শ্রীশ। রসিকবাবুর অপরাধে আপনারা নির্দ্দোষদের সাজা দেবেন কেন? আমরা ত কোন প্রকার প্রগল্‌ভতা করিনি। (উভয়ের ন যযৌ ন তস্থৌ ভাব)

 বিপিন। (নীরকে লক্ষ্য করিয়া) পূর্ব্বকৃত কোন অপরাধ যদি থাকে ত ক্ষমা প্রার্থনার অবকাশ কি দেবেন না?

 রসিক। (জনান্তিকে) এই ক্ষমাটুকুর জন্যে বেচারা অনেক দিন থেকে সুযোগ প্রত্যাশা করচে―

 নীর। (জনান্তিকে) অপরাধ কি হয়েছে, যে ক্ষমা কর্‌তে যাব?

 রসিক। (বিপিনের প্রতি) ইনি বল্‌ছেন, আপনার অপরাধ এমন মনোহর যে, তাকে ইনি অপরাধ বলে লক্ষ্যই করেন নি।―কিন্তু আমি যদি সেই খাতাটি হরণ করতে সাহসী হতেম তবে সেটা অপরাধ হত—আইনের বিশেষ ধারায় এই রকম লিখচে।

 বিপিন। ঈর্ষা করবেন না রসিকবাবু! আপনারা সর্ব্বদাই অপরাধ কর্‌বার সুযোগ পান এবং সেজন্য দণ্ডভোগ করে কৃতার্থ হন, আমি দৈবক্রমে একটি অপরাধ কর্‌বার সুবিধা পেয়েছিলুম―কিন্তু এতই অধম যে দণ্ডনীয় বলেও গণ্য হলেম না, ক্ষমা পাবার যোগ্যতাও লাভ করলেম না।

 রসিক। বিপিন বাবু, একেবারে হতাশ হবেন না! শাস্তি অনেক সময় বিলম্বে আসে কিন্তু নিশ্চিত আসে। ফস্ করে মুক্তি না পেতেও পারেন!

ভৃত্যের প্রবেশ।

 ভৃত্য। জল খাবার তৈরি। (নৃপ ও নীরর প্রস্থান)

 শ্রীশ। আমরা কি দুর্ভিক্ষের দেশ থেকে আসছি রসিক বাবু? জল খাবারের জন্যে এত তাড়া কেন?

 রসিক। মধুরেণ সমাপয়েৎ!

 শ্রীশ। (নিশ্বাস ফেলিয়া) কিন্তু সমাপনটাত মধুর নয়!(জনান্তিকে