পাতা:প্রজাপতির নির্বন্ধ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮৮
প্রজাপতির নির্ব্বন্ধ।

পিণ্ডদান করে তার পরে যদি দেখা দেন! এইবার অবশিষ্ট সভ্যটি এলেই আমাদের চিরকুমারসভা সম্পূর্ণ সমাপ্ত হয়!

শৈলের প্রবেশ।

 শৈল। (চন্দ্রকে প্রণাম করিয়া) আমাকে ক্ষমা করবেন!

 শ্রীশ। একি, অবলাকান্ত বাবু―

 অক্ষয়। আপনারা মত পরিবর্ত্তন করেছেন, ইনি বেশ পরিবর্ত্তন করেছেন মাত্র।

 রসিক। শৈলজা ভবানী এতদিন কিরাত বেশ ধারণ করেছিলেন, আজ ইনি আবার তপস্বিনী বেশ গ্রহণ করলেন।

 চন্দ্র। নির্ম্মলা আমি কিছুই বুঝতে পারচিনে।

 নির্ম্মলা। অন্যায়! ভারি অন্যায়! অবলাকান্তবাবু―

 অক্ষয়। নির্ম্মলা দেবী ঠিক বলেছেন—অন্যায়! কিন্তু সে বিধাতার অন্যায়! এঁর অবলাকান্ত হওয়াই উচিত ছিল, কিন্তু ভগবান্ এঁকে বিধবা শৈলবালা করে কি মঙ্গল সাধন করচেন সে-রহস্য আমাদের অগোচর!

 শৈল। (নির্ম্মলার প্রতি) আমি অন্যায় করেছি, সে অন্যায়ের প্রতিকার আমার দ্বারা কি হবে? আশা করি কালে সমস্ত সংশোধন হয়ে যাবে।

 পূর্ণ। (নির্ম্মলার নিকটে আসিয়া) এই অবকাশে আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি, চন্দ্রবাবুর পত্রে আমি যে স্পর্ধা প্রকাশ করেছিলুম সে আমার পক্ষে অন্যায় হয়েছিল—আমার মত অযোগ্য—

 চন্দ্র। কিছু অন্যায় হয় নি পূর্ণবাবু আপনার যোগ্যতা যদি নির্ম্মল না বুঝতে পারেন ত সে নির্ম্মলারই বিবেচনার অভাব! (নির্ম্মলার নতমুখে নিরুত্তরে প্রস্থান)

 রসিক। (পূর্ণের প্রতি জনান্তিকে) ভয় নেই পূর্ণবাবু আপনার