অক্ষয়। বন্দুকের সকল গুলিই কি লক্ষ্যে গিয়ে লাগে? প্রজাপতি টার্গেট প্র্যাক্টিস্ করছিলেন, এ দুটো ফসকে গেল। প্রথম প্রথম এমন গোটাকতক হয়েই থাকে। এই হতভাগ্য ধরা পড়বার পূর্ব্বে তোমার দিদির ছিপে অনেক জলচর ঠোকর দিয়ে গিয়েছিল, বঁড়শি বিঁধল কেবল আমারি কপালে!—বলিয়া কপালে চপেটাঘাত করিলেন!
নৃপ। এখন থেকে রোজই প্রজাপতির প্র্যাক্টিস চল্বে না কি মুখুজ্জে মশায়? তা হলে ত আর বাঁচা যায় না!
নীরু।কেন ভাই দুঃখ করিস্? রোজই কি ফস্কাবে? একটা না একটা এসে ঠিক মতন পৌঁছবে।
রসিকের প্রবেশ।
নীরু। রসিক দাদা, এবার থেকে আমরাও তোমার জন্যে পাত্রী জোটাচ্চি।
রসিক। সে ত সুখের বিষয়!
নীরু। হাঁ! সুখ দেখিয়ে দেব! তুমি নিজে থাক হোগ্লার ঘরে, আর পরের দালানে আগুন লাগাতে চাও! আমাদের হাতে টীকে নেই? আমাদের সঙ্গে যদি লাগ, তা হলে তোমার দু-দুটো বিয়ে দিয়ে দেব— মাথায় যে ক’টি চুল আছে সাম্লাতে পারবে না!
রসিক। দেখ্ দিদি, দুটো আস্ত জন্তু এনেছিলুম বলেই ত রক্ষে পেলি, যদি মধ্যম রকমের হত, তা হলেই ত বিপদ ঘট্ত। যাকে জন্তু বলে চেনা যায় না, সেই জন্তুই ভয়ানক।
অক্ষয়। সে কথা ঠিক। মনে মনে আমার ভয় ছিল, কিন্তু একটু পিঠে হাত বুলাবামাত্রই চট্পট্ শব্দে ল্যাজ নড়ে উঠ্ল। কিন্তু মা বল্চেন কি?
রসিক। সে যা বল্চেন সে আর পাঁচজনকে ডেকে ডেকে শোনা-