আমিত তোমাকে বলেইছি তোমরা কোন ভাবনা কোরো না। আমার শ্যালীপতিরা গোকূলে বাড়চেন।
পুরবালা। গোকুলটি কোথায়?
অক্ষয়। যেখান থেকে এই হতভাগ্যকে তোমার গোষ্ঠে ভর্ত্তি করেছ। আমাদের সেই চিরকুমার সভা।
পুরবালা সন্দেহ প্রকাশ করিয়া কছিল —প্রজাপতির সঙ্গে তাদের যে লড়াই!
অক্ষয়। দেবতার সঙ্গে লড়াই করে পারবে কেন? তাঁকে কেবল চটিয়ে দেয় মাত্র! সেই জন্যে ভগবান প্রজাপতির বিশেষ ঝোঁক ঐ সভাটার উপরেই। সরা-চাপা হাঁড়ির মধ্যে মাংস যেমন গুমে গুমে সিদ্ধ হতে থাকে—প্রতিজ্ঞার মধ্যে চাপা থেকে সভ্যগুলিও একেবারে হাড়ের কাছ পর্য্যন্ত নরম হয়ে উঠেছেন—দিব্যি বিবাহ-যোগ্য হয়ে এসেছেন—এখন পাতে দিলেই হয়। আমিও ত এককালে ঐ সভার সভাপতি ছিলুম!
আনন্দিত পুরবাল বিজয়গর্ব্বে ঈষৎ হাসিয়া জিজ্ঞাসা করিল— তোমার কি রকম দশাটা হয়েছিল!
অক্ষয়। সে আর কি বলব! প্রতিজ্ঞ ছিল স্ত্রীলিঙ্গ শব্দ পর্য্যন্ত মুখে উচ্চারণ করব না, কিন্তু শেষকালে এমনি হল যে, মনে হত শ্রীকৃষ্ণের ষোল-শ গোপিনী যদি বা সম্প্রতি দুষ্প্রাপ্য হন অন্ততঃ মহাকালীর চৌষট্টি হাজার যোগিনীর সন্ধান পেলেও একবার পেট ভরে প্রেমালাপটা করে নিই—ঠিক সেই সময়টাতেই তোমার সঙ্গে সাক্ষাৎ হল আর কি!
পুত্রবালা। চৌষটি হাজারের সখ্ মিট্ল?
অক্ষয়। সে আর তোমার মুখের সাম্নে বলব না! জাঁক হবে। তবে ইসারায় বল্তে পারি মা কালী দয়া করেছেন বটে! —এই বলিয়া