ছেন—কিন্তু ওটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের নিজের করে নিতে হবে।
পূর্ণ। সভাপতি মশায় কি বলেন?
শ্রীশ। তাঁকে ক’দিন ধরে বুঝিয়ে বুঝিয়ে আমার দলে টেনে নিয়েছি। কিন্তু তিনি তাঁর দেশলাইয়ের কাঠি ছাড়েন নি। তিনি বলেন সন্ন্যাসীরা কৃষিতত্ত্ব বস্তুতত্ত্ব প্রভৃতি শিখে গ্রামে গ্রামে চাষাদের শিখিয়ে বেড়াবে―এক টাকা করে শেয়ার নিয়ে একটা ব্যাঙ্ক খুলে বড় বড় পল্লীতে নূতন নিয়মে এক একটা দোকান বসিয়ে আস্বে—ভারতবর্ষের চারিদিকে বাণিজ্যের জাল বিস্তার করে দেবে। তিনি খুব মেতে উঠেছেন।
পূর্ণ। বিপিন বাবুর কি মত?
বিপিনের মতে শ্রীশের এই কল্পনাটি কার্য্যসাধ্য নয়, কিন্তু শ্রীশের সর্ব্বপ্রকার পাগ্লামিকে সে স্নেহের চক্ষে দেখিত;― প্রতিবাদ করিয়া শ্রীশের উৎসাহে আঘাত দিতে তাহার কোনমতেই মন সরিত না। সে বলিল—যদিচ আমি নিজেকে শ্রীশের নবীন সন্ন্যাসী সম্প্রদায়ের আদর্শ পুরুষ বলে জ্ঞান করিনে কিন্তু দল যদি গড়ে ওঠে ত আমিও সন্ন্যাসী সাজ্তে রাজি আছি।
পূর্ণ। কিন্তু সাজ্তে খরচ আছে মশায়—কেবল কৌপীন নয় ত― অঙ্গদ, কুণ্ডল, আভরণ, কুন্তলীন, দেল খোস―
শ্রীশ। পূর্ণ বাবু ঠাট্টাই কর আর যাই কর, চিরকুমার সভা সন্ন্যাসী সভা হবেই। আমরা একদিকে কঠোর আত্মত্যাগ করব, অন্যদিকে মনুষ্যত্বের কোন উপকরণ থেকে নিজেদের বঞ্চিত করব না― আমরা কঠিন শোর্য্য এবং ললিত সৌন্দর্য্য উভয়কেই সমান আদরে বরণ করব―সেই দুরূহ সাধনায় ভারতবর্ষে নবযুগের আবির্ভাব হবে
পূর্ণ। বুঝেছি শ্রীশবাবু—কিন্তু নারী কি মনুষ্যত্বের একটা সর্ব্বপ্রধান উপকরণের মধ্যে গণ্য নয়? এবং তাঁকে উপেক্ষা করলে