চন্দ্র। তা সে যে নামই দাও। তা ছাড়া অক্ষয়বাবু সে দিন একটি কথা যা বল্লেন সেও আমার মন্দ লাগ্ল না। তিনি বলেন, চিরকুমার সভার সংস্রবে আর একটি সভা রাখা উচিত যাতে বিবাহিত এবং বিবাহসংকল্পিত লোকদের নেওয়া যেতে পারে। গৃহী লোকদেরও ত দেশের প্রতি কর্ত্তব্য আছে। সকলকেই সাধ্যমত কোন না কোন হিতকর কাজে নিযুক্ত থাক্তে হবে—এইটে হচ্ছে সাধারণ ব্রত। আমাদের একদল কুমারব্রত ধারণ করে দেশে দেশে বিচরণ করবেন, একদল কুমারব্রত ধারণ করে একজায়গায় স্থায়ী হয়ে বসে কাজ করবেন, আর একদল গৃহী নিজ নিজ রুচি ও সাধ্য অনুসারে একটা কোন প্রয়োজনীয় কাজ অবলম্বন করে দেশের প্রতি কর্ত্তব্য পালন করবেন। যাঁরা পর্য্যটক্ সম্প্রদায়ভুক্ত হবেন তাঁদের ম্যাপ প্রস্তুত, জরিপ, ভূতত্ত্ববিদ্যা, উদ্ভিদ বিদ্যা, প্রাণিতত্ত্ব প্রভৃতি শিখতে হবে, তাঁরা যে দেশে যাবেন সেখানকার সমস্ত তথ্য তন্ন তন্ন করে সংগ্রহ করবেন―তা হলেই ভারতবর্ষীয়ের দ্বারা ভারতবর্ষের যথার্থ বিবরণ লিপিবদ্ধ হবার ভিত্তি স্থাপিত হতে পারবে—হণ্টার সাহেবের উপরেই নির্ভর করে কাটাতে হবে না―
পূর্ণ। চন্দ্রবাবু যদি বসেন তা হলে একটা কথা―
চন্দ্র। না—আমি বল্ছিলুম―যেখানে যেখানে যাব সেখানকার ঐতিহাসিক জনশ্রুতি এবং পুরাতন পুঁথি সংগ্রহ করা আমাদের কাজ হবে—শিলালিপি, তাম্রশাসন এগুলোও সন্ধান করতে হবে—অতএব প্রাচীন লিপি পরিচয়টাও আমাদের কিছুদিন অভ্যাস করা আবশ্যক।
পূর্ণ। সে সব ত পরের কথা, আপাততঃ―
চন্দ্র। না, না, আমি বল্চিনে সকলকেই সব বিদ্যা শিখতে হবে, তা হলে কোন কালে শেষ হবে না। অভিরুচি অনুসারে ওর মধ্যে আমরা কেউবা একটা কেউবা দুটো তিনটে শিক্ষা করব―
শ্রীশ। কিন্তু তা হলেও―