পাতা:প্রজাপতির নির্বন্ধ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৪
প্রজাপতির নির্ব্বন্ধ।

 বিপিন। পূর্ণ ত একটি আঘাতেই আহত হয়ে পড়ল—রক্ষা পায় কি না সন্দেহ!

 শ্রীশ। কি রকম?

 বিপিন। লক্ষ্য করে দেখনি বুঝি?

 প্রশান্তভার বিপিনকে দেখিলে মনে হয় না যে সে কিছু দেখে; কিন্তু তাহার চোখে কিছুই এড়ায় না। পরম দুর্ব্বল অবস্থায় পূর্ণকে সে দেখিয়া লইয়াছে।

 শ্রীশ। না না ও তোমার অনুমান!

 বিপিন। হৃদয়টা ত অনুমানেরই জিনিষ, না যায় দেখা না যায় ধরা।

 শ্রীশ থমকিয়া দাঁড়াইয়া ভাবিতে লাগিল,―কহিল, পূর্ণর অসুখটাও তা হলে বৈদ্যশাস্ত্রের অন্তর্গত নয়?

 বিপিন। না, এ সকল ব্যাধি সম্বন্ধে মেডিকাল কলেজে কোন লেক্‌চার চলে না।

 শ্রীশ উচ্চস্বরে হাসিতে লাগিল, গম্ভীর বিপিন স্মিতমুখে চুপ করিয়া রহিল।

 চন্দ্রবাবু প্রবেশ করিয়া কহিলেন—আজকের তর্কবিতর্কের উত্তেজনায় পূর্ণবাবুর হঠাৎ শরীর খারাপ হল দেখে আমি তাঁকে তাঁর বাড়ী পৌঁছে দেওয়া উচিত বোধ করলুম।

 শ্রীশ বিপিনের মুখের দিকে, চাহিয়া ঈষৎ একটু হাসিল, বিপিন গম্ভীরমুখে কহিল, পূর্ণবাবুর যে রকম দুর্ব্বল অবস্থা দেখচি পূর্ব্ব হতেই তার বিশেষ সাবধান হওয়া উচিত ছিল।

 চন্দ্রমাধব সরলভাবে উত্তর করিলেন, পূর্ণবাবুকে ত বিশেষ অসাবধান বলে বোধ হয় না!

 চন্দ্রমাধব বাবু সভাপতির আসন গ্রহণ করিবার পূর্ব্বেই অক্ষয় রসিক দাদাকে সঙ্গে লইয়া ঘরে প্রবেশ করিলেন। কহিলেন—মাপ করবেন,