লক্ষ্মীর আছেন বিষ্ণু, তাঁর আর বিদ্যের দরকার হয় নি,—তিনি স্বামীটিকে এবং পেঁচাটিকে নিয়েই আছেন,—আর সরস্বতীর স্বামী নেই, কাজেই তাকে বিদ্যে নিয়ে থাক্তে হয়।
জগৎ। ত যা বল বাবা, আস্চে বৈশাখে মেয়েদের বিয়ে দেবই!
পুরবালা। হা ঁমা, আমার ও সেই মত। মেয়ে মান্সের সকাল সকাল বিয়ে হওয়াই ভাল!
শুনিয়া অক্ষয় তাহাকে জনান্তিকে বলিয়া লইল, তা ত বটেই! বিশেষতঃ যখন একাধিক স্বামী শাস্ত্রে নিষেধ, তখন সকাল সকাল বিয়ে করে সময়ে পুষিয়ে নেওয়া চাই!
পুরবালা। আঃ কি বক্্! মা শুনতে পাবেন!
জগৎ। রসিক কাকা আজ পাত্র দেখাতে আস্বেন, তা চল্ মা পুরি, তাদের জলখাবার ঠিক করে রাখিগে।
আনন্দে উৎসাহে মার সঙ্গে পুরবালা ভাণ্ডার অভিমুখে প্রস্থান করিল।
মুখুজ্জে মশায়ের সঙ্গে শৈলর তখন গোপন কমিটি বসিল। এই শ্যালীভগিনীপতি দুটি পরস্পরের পরম বন্ধু ছিল। অক্ষয়ের মত এবং রুচির দ্বারাই শৈলর স্বভাবটা গঠিত। অক্ষয় তাঁহার এই শিষ্যাটিকে যেন আপনার প্রায় সমবয়স্ক ভাইটির মত দেখিতেন—স্নেহের সহিত সৌহার্দ্দ্য মিশ্রিত। তাহাকে শ্যালীর মত ঠাট্টা করিতেন বটে কিন্তু তাহার প্রতি বন্ধুর মত একটি সহজ শ্রদ্ধা ছিল।
শৈল কহিল—আর ত দেরী করা যায় না মুখুজ্জে মশায়! এইবার তোমার সেই চিরকুমার সভার বিপিনবাবু এবং শ্রীশবাবুকে বিশেষ একটু তাড়া না দিলে চল্চে না। আহা ছেলে দুটি চমৎকার! আমাদের নেপ আর নীরর সঙ্গে দিব্যি মানায়! তুমি ত চৈত্রমাস যেতে না যেতে আপিস্ ঘাড়ে করে সিম্লে যাবে, এবারে মাকে ঠেকিয়ে রাখা শক্ত হবে!
অক্ষয়। কিন্তু তাই বলে সভাটিকে হঠাৎ অসময়ে তাড়া লাগালে