পাতা:প্রতিজ্ঞা-পালন - পাঁচকড়ি দে.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 প্ৰতিজ্ঞা-পালন । “তাহা হইলে এই লোকটাই খুনী।” ' “তাহার পর এখানে গাড়ী হইতে নামিয়া পকেটে পিস্তল খুজিতেছিল-খুব সম্ভব, আত্মহত্যা করিত।” “পিস্তল। ইহার কে লইল ?” “আমি ভাব বুঝিয়া আগেই ইহার পকেট হইতে পিস্তল তুলিয়া লইয়াছিলাম।” সাহেব হাসিয়া বলিলেন, “তোমার এত বুদ্ধি আছে, তাহা আগে জানিতাম না।” রামকান্ত পিস্তলটি সাহেবের টেবিলের উপর রাখিলেন। সাহেব বলিলেন, “আমি তোমার উপর বিশেষ সন্তুষ্ট হইয়াছি। যাও, তাহাকে এইখানে লইয়া এস।” পরীক্ষণেই সুরেন্দ্ৰনাথ সাহেবের কাছে নীত হইলেন। রামকান্ত র্তাহাকে সাহেবের সম্মুখে রাখিয়া বাহিরে গেল। সাহেব কিয়ৎক্ষণ সুরেন্দ্রনাথকে নিরীক্ষণ করিলেন ; তৎপরে সম্মুখস্থ একখানি চেয়ার দেখাইয়া দিয়া বলিলেন, “‘বসুন।” সুরেন্দ্ৰনাথ কোন কথা না কহিয়া বসিলেন । সাহেব কিয়ৎক্ষণ তঁহাকে কোন কথা জিজ্ঞাসা করিলেন না ; একদৃষ্টি তাহাকে নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন । অনেকক্ষণ পরে তিনি ধীরে ধীরে জিজ্ঞাসা করিলেন, “আমার একজন কৰ্ম্মচারী কেন আপনাকে আমার কাছে আনিয়াছে, তাহা কি আঁপনি জানেন ?” সুরেন্দ্ৰনাথ বলিলেন, “ই মহাশয়, আশ্চৰ্য্যের বিষয়, এইরূপ সামান্য প্ৰমাণে-কেবল সন্দেহের উপর নির্ভর করিয়া আপনার কৰ্ম্মচারী একজন ভদ্রলোককে গ্ৰেপ্তার করিয়াছে।” সাহেব বলিলেন, “আপনি গ্ৰেপ্তার হইয়াছেন, মনে করিবেন না,