পাতা:প্রতিজ্ঞা-পালন - পাঁচকড়ি দে.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰতিজ্ঞা-পালন । So তিনি ফিরিতেছিলেন, এই সময়ে রামকান্ত তাহার গা টিপিল অক্ষয়কুমার দাড়াইলেন। রামকান্ত একটা ক্ষুদ্র দ্বার দেখাইয়া দিল । ” অক্ষয়কুমার বলিলেন ; “এই দ্বারের পশ্চাতে একটা ঘর আছে বলিয়া বোধ হয় ।” সুরেন্দ্রনাথ যেন একটু কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইলেন ; বলিলেন, “একটা ছোট ঘর আছে-বাজে জিনিষ-পত্ৰ ওখানে আছে- পড়োঘর বলিলেও চলে ।” “দেখিতে ক্ষতি কি, ইহার দ্বারে চাবি দিয়া রাখিয়াছেন কেন ?” । “এ ঘবে বিশেষ কোন দরকারী জিনিষ নাই বলিয়া, চাবি দিয়া বাখিয়াছি।” « ` “বটে, অ-দরকারী বাজে জিনিষের জন্য লোকে চাবী দিয়া থাকে । কই, চাবীটা একবার দেখি ” সুরেন্দ্রনাথ কম্পিতহস্তে চাবীটা দিলেন, তাহ অক্ষয়কুমার লক্ষ্য করিলেন ; রামকান্তও দেখিল—মনে মনে বলিল, “এখানে এবার তিন নম্বর লাস না বাহির হয় ।” অক্ষয়কুমার চাবী খুলিলেন ; রামকান্ত দ্বার ঠেলিয়া খুলিয়া ফেলিল। র্তাহারা গৃহমধ্যে গিয়া দেখিলেন, মোটেই অব্যবহাৰ্য্য দ্রব্য সেখানে নাই গৃহটী সুন্দর, সুসজ্জিত – মধ্যস্থলে একখানি টেবিলী, ঐ টেবিলের দুইপার্শ্বে দুইখানি সুন্দর চেয়ার-টেবিলের উপর কতকগুলি তাসদেখিলেই বোধ হয়, দুই ব্যক্তি নির্জনে এই গৃহমধ্যে তাঁস খেলিতেছিল। অক্ষয়কুমার ও রামকান্ত এই সকল দেখিয়া বিশেষ বিস্মিত হইলেন। কিয়ৎক্ষণ উভয়ে নীরবে দাড়াইয়া রহিলেন। তৎপরে অক্ষয়কুমার তাসগুলি তুলিয়া লইয়া এক-একখানি করিয়া দেখিতে লাগিলেন। সবগুলি দেখা হইলে দেখিলেন, তন্মধ্যে ইন্ধাবনের টেকখানিই নাই। "