পাতা:প্রতিজ্ঞা-পালন - পাঁচকড়ি দে.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

y oy~ (2ऊिंख्G-2f8लम । “আমি জানি, তোমরা সকলেই আমাকে সম্মান কর। এখন এই হাবাই কেবল বলিতে পারে, খুনী কে ? আমি সাহেবকে যেরূপ যুক্তি দিয়াছিলাম, তাহাতেই বেশ বুঝিতে পারা গিয়াছে, এই হাবা এ সহরের লোক নয়। এ হাবা কোথাকার লোক, তাহাই আমাকে প্ৰথমে অনুসন্ধান করিতে হইবে।” “আমরা সে চেষ্টায় আছি।” “কৃতান্তকুমার আমার ছেলের ধূত হওয়া সম্বন্ধে কিছু করিয়াছে ?” না, কিছু নয়—বরং তিনি এ কথা শুনিয়া বিশেষ দুঃখিত ও বিস্মিত হইয়াছেন।” “এই পৰ্য্যন্ত-এখন আমি তাহাকে নির্দোষী প্ৰমাণ করিব-আমি জানি, সে কখনই এরূপ ভয়ানক কাজ করিতে পারে না ।” অক্ষয়কুমার প্রস্থান করিলেন। গোবিন্দরাম প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করিয়া সুহাসিনীর জননীকে বলিলেন, “ভুলক্রমে সুরেনকে পুলিসে ধরিয়াছে, কোন ভয় নাই-সে। শীঘ্রই মুক্তি পাইবে।” তাহারা কিছু আশ্বস্ত হইয়া গৃহে ফিরিলেন। SN) সুরেন্দ্ৰনাথ, গোবিন্দরামের একমাত্র পুত্র। অতি শৈশবে মাতৃহীন হওয়ায় পিতাই তঁহাকে মানুষ করিয়াছেন। তঁহার এইরূপ বিপদে পিতা হৃদয়ে যে গুরুতর আঘাত পাইলেন, তাহা বৰ্ণনাতীত ; তবে গোবিন্দরাম নিজ মনোভাব প্ৰকাশ করিবার লোক ছিলেন না-ৰ্তাহার হৃদয়ের যন্ত্রণা বাহিরে কেহই জানিতে পারিল না ।