পাতা:প্রতিজ্ঞা-পালন - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లి: প্ৰতিজ্ঞা-পালন । “হঁ,আগেও তবলিয়াছি, আপনি মরিতে বলিলেও মরিব।” “তাহা হইলে প্ৰথমে আমার সঙ্গে তোমাকে যাইতে হইবে।” “অনেক দিনের জন্য ?” ” এখন বলিতে পারি না ।” “কোথায় যাইবেন ?” “কোন কথা জিজ্ঞাসা করিয়ো না, কোন কথা জিজ্ঞাসা করিতে পরিবে না, এই কড়ারে যদি সম্মত হও, তবে-” মধ্যপথে বাধা দিয়া রামকান্ত ব্যগ্ৰভাবে বলিল, “আপনি যাহা বলি বেন, তাহাই করিব-কোন কথা কহিব না।” গোবিন্দরাম গভীরভাবে বলিলেন, “কোথায় যাইব, এখন বলিতে পারি না ; তবে সুরেন্দ্ৰকে নির্দোষী সপ্ৰমাণ করিবার জন্য যাহা করা প্ৰয়োজন, তাহাঁই করিতে হইবে। তুমি যে আমার সহিত একত্রে কাজ করিতেছি, ইহা যেন কেহ জানিতে না পারে—সাবধান ! অনেক রাত্রে গোপনে আমার সঙ্গে দেখা করিবে ।” রামকান্ত সেইরূপই কাৰ্য্য করিবে বলিয়া বিদায় হইল। So দুইমাস। অতীত হইয়া গিয়াছে। গোবিন্দরাম আর কলিকাতায় নাইকোথায় গিয়াছেন, তাহ কেহ জানে না। কৃতান্তকুমার বলিয়াছেন যে, তিনি হাবাকে লইয়া গিয়া তাহারই কাছে আছেন। পাছে, পুলিসে তাহার কোন সন্ধান পায়, এই ভয়ে নিজেই তাহার কাছে আছেন। পুলিসের সাহেব কতকটা এইরূপই বিশ্বাস করিয়াছেন। গোবিন্দরামের সন্ধানে চারিদিকে সুদক্ষ গোয়েন্দা পাঠাইয়াছেন, কিন্তু তাহারা এ পৰ্যন্ত