পাতা:প্রতিজ্ঞা-পালন - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

yOS eङिख्खा-2iव्लिका । পাহারাওয়ালা হাতী-বাগানের রাস্তায় একব্যক্তিকে ধৃত করে, সে একটা টীনের বাক্স মাথায় করিয়া লইয়া যাইতেছিল। তাহাকে থানায় আনিয়া এই বাক্স খুলিলে তন্মধ্যে একটী সুন্দরী যুবতী স্ত্রীলোকের মৃতদেহ দেখিতে পাওয়া যায়। ঐ মৃতদেহে1 বক্ষে একখানা ছোরা আমূলবিদ্ধ রহিয়াছে। ঐ ছোরার নিয়ে একখানা তাসইস্কাবনের টেক্কা ছিল । যে লোকটা ধরা পড়িয়াছিল, পরে জানা গেল যে, সে হাবা ও কালা—তাহার নিকটে কিছুই জানিবার সম্ভাবনা নাই। তবুও পুলিস কৌশল করিয়া তাহাকে ছাড়িয়া দিলে সে, বাগবাজারে একটা বাড়ীতে আসিল, তখন জানিতে পারা গেল যে, স্ত্রীলোকটি এই বাড়ীতে বাস করিত ; আরও জানিতে পারা গেল যে, এ বাড়ীতে আরও একটা খুন হইয়াছে—তাহার মৃতদেহ বাড়ীতেই পড়িয়া আছে। অনুসন্ধানে জানা গিয়াছে, মৃতপুরুষটি একজন জমিদার-নাম সুধামাধব রায় ; স্ত্রীলোকটি তাহারই রক্ষিতা ছিল--নাম বিনোদিনী । বাড়ী হইতে কোন দ্রব্যাদি অপহৃত হয় নাই, সুতরাং বোঝা যাইতেছে যে, অর্থলোভে কেহ এই দুইজনকে খুন করে নাই-রাগ, ঈৰ্ষা, প্রতিহিংসাই এই খুনের কারণ। আসামী নিজে উকীল-শিক্ষিত ভদ্রবংশজাত—শীঘ্রই একজন ধনীর কন্যাকে বিবাহ করিবেন—তিনি একরূপ দৈবসাহায্যেই ধৃত হইয়াছেন, রলিলে অত্যুক্তি হয় না। তঁহার বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়াছে ;- প্রথমতঃ, তাহার পকেট হইতে একখানা পকেট-বই একজন চোর তুলিয়া লয়, তাহাতে এই বিনোদিনীর একখানা ফটাে ছবি ছিল ; ছবিতে স্ত্রীলোকের হস্তাক্ষরে লিখিত আছে, “ভুলো না। আমায়।” সুতরাং বুঝা যাইতেছে যে, এই বিনোদিনীর সহিত আসামীর প্রণয় ছিল। তাহার পর মৃতদেহে যে তাস পাওয়া গিয়াছে, ঠিক