পাতা:প্রতিজ্ঞা-পালন - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৬ eडिख्व-°व्नभ । “হা, তিনি সেইখানে মারা যান।” * বিস্মিতভাবে জাফর আলি বলিলেন, “আপনি তঁহাকে চিনেন ?” কৃতান্তকুমার বলিলেন, “আপনি ইহাতে বিস্মিত হইতেছেন কেন ?” জাফর আলি বলিলেন, “হা, হইবারই কথা ।” ১০ কৃতান্তকুমার বলিলেন, “আমি ইহার সম্বন্ধে একটু সন্ধান রাখিইনি অনেক টাকা রাখিয়া গিয়াছেন।” “তবে তিনি অনেক টাকা রাখিয়া গিয়াছেন ?” “হা, তাহার উত্তরাধিকারীরা কোথায় আছে, তাহ কেহ জানে না ?” “তবে তঁাহারা বড়লোক ?” কৃতান্তকুমার কহিলেন, “কিরূপে বলিব ? তাহারা কে কোথায় আছে, এ পর্য্যন্ত সে সন্ধান হয় নাই। নরেন্দ্ৰভূষণ বাবুর সন্তানাদি ছিল না, চারি ভগিনী ছিল—তাহাদের নিশ্চয়ই সন্তানাদি হইয়াছে ; কিন্তু ইহারা যে কে কোথায় আছে, তাহার সন্ধান হয় নাই। কয়েকবার সরকার হইতে ইহাদের সন্ধান হইয়াছে ; আমার উপরেও ইহাদের সন্ধানের ভার পড়িয়াছিল, আমার তত সময় না থাকায় আমি আর একজনের উপর সন্ধানের ভার দিয়াছি ; “কিন্তু আপনি এ সন্ধান করিতে ছেন কেন ?” নবাব বলিলেন, “তিনি এক সময়ে আমার পিতার প্রাণরক্ষা করিয়া ছিলেন। তঁহার জীবিতকালে আমরা কৃতজ্ঞতা দেখাইতে পারি নাই, তাহাই ভাবিয়াছি, তাহার ওয়ারিসনদের কিছু টাকা দিয়া উপকার করিব-আমারও সন্তানাদি নাই।” মুহুর্তের জন্য কৃতান্তকুমারের মুখ যেন হর্ষে উৎফুল্প হইল। তিনি মনোভাব গোপন করিয়া বলিলেন, “যদি আপনি নরেন্দ্রভূষণ বাবুর ওয়ারিসনদের যথার্থই অনুসন্ধান করিতে চাহেন, তাহা হইলে আমি যে