পাতা:প্রতিজ্ঞা-পালন - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| eडिडव-9itव्लन عوا " ছোরার বঁটি দেখা যাইতেছে-ছোরার বঁটিটী হস্তিদন্তনিৰ্ম্মিত। ছোরাখানিও ছোট, ঠিক বুকের মাঝখানে বিদ্ধ হইয়াছে-তােহাঁই রমণীর মৃত্যু মুহুর্তের মধ্যে হইয়াছে। “ বােধ হয়, সে কষ্ট অনুভব করিবার সময়ও পায় নাই-এখনও মুখখানিতে হাসিটী লাগিয়া রহিয়াছে। ছোরা খানি এখনও বিদ্ধ থাকায় শরীরস্থ রক্তও অধিক নিঃসৃত হইতে পারে নাই- বস্ত্ৰে নামমাত্র রক্ত লাগিয়াছে। দারোগ সাহেব গম্ভীরভাবে বলিলেন, “এখন বুঝিতেছি, বেটা কেন কোন কথা কহে নাই ; কাল কথা কহিতে হইবে । মৃতদেহ দেখিলে কি বলে দেখা যাক - দেৱী করা কীৰ্ত্তব্য নয়।” এই সময়ে একজনকে মৃতদেহ স্পর্শ করিতে উদ্যত দেখিয়া, দারোগ বলিয়া উঠিলেন, “উ—হ-না-হাত দিয়ে না হে— গুরুতর ব্যাপার। ইনস্পেক্টর সাহেবকে না বলিয়া আমি কিছুই করিতে পারি না-বাক্স যেমন আছে, “ তেমনই থাকৃ- কেহ হাত দিও না। আমাদের পরম সৌভাগ্য যে খুনীকে আমরা লাস শুদ্ধ ধরিতে পারিয়াছি।” ইনস্পেক্টর সাহেবকে সংবাদ পঠাইয়া দারোগ বলিলেন, “আমাদের পরম সৌভাগ্য যে, গারদ ঘরে আর কেহ নাই ; না হইলে কে জানিত যে, লোকটা কাহাকে দিয়া কাল বাহিরে সংবাদ পাঠাইত। তবুও একজন 'যাও, দেখিয়া এস, সে কি করিতেছে-পাহারায় যে আছে, তাহাকেও ইহার উপর বিশেষ নজর রাখিতে বলিবে ।” কিয়ৎক্ষণ পরে সেই লোক ফিরিয়া আসিয়া বলিল, “দারোগ সাহেব, লোকটা কি করিতেছে, আপনি মনে করেন ?” “কেন, কি হইয়াছে ?” “নাক ডাকাইয়া ঘুমাইতেছে।” “সব বদমাইসী।”