পাতা:প্রতিজ্ঞা-পালন - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰতিজ্ঞা-পালন । সহসা তাহার কাণে সুহাসিনীর অস্ফুট চীৎকারধ্বনি প্ৰবেশ করিল। লোকটি চমকিত হইয়া সেইদিকে ফিরিয়া দেখিল, দুইটি লোকে একটি বালিকাকে জোর করিয়া গাড়ীতে তুলিতেছে। তখন সেইলোক লাফাইয়া উঠিল; তাহার হাতে এক প্ৰকাণ্ড লাঠী ছিল, সে পশ্চাৎ হইতে এক ব্যক্তির মস্তকে সজোরে সেই লাঠী মারিল। লাঠী খাইয়া সুহাসিনীকে ছাড়িয়া দিয়া দুবৃত্ত পলাইয়া গেল ; পরীক্ষণে অপর একব্যক্তিও এই ব্যাপার দেখিয়া সজোরে সুহাসিনীকে ধরাতালে নিক্ষেপ করিয়া উৰ্দ্ধশ্বাসে ছুটিয়া পলাইল। লোকটি তাহদের অনুসরণ করিল না, সুহাসিনী পড়িয়া গিয়াছিল, তাহার হাত ধরিয়া তুলিল; বলিল, “ভয় নাই, চল—কোথায় তোমাদের বাড়ী বল- রাখিয়া আসি। ইহার কে ?” সুহাসিনী ব্যাকুলভাবে বলিল, “এই আমাদের বাড়ী।” “তবে তোমারই নাম সুহাসিনী । ইহারা কে ?” “জানি না, আসুন বাড়ীতে। আমার এখানে বড় ভয় করছে।” . “চল, আমি এদিকে না আসিলে ইহার তোমাকে লইয়া যাইত। বাগানের দরজা কোনদিকে আমি তাহাই খুজিতে খুজিতে এইদিকে আসিয়াছিলাম।” “হা, বাড়ীতে চলুন।” সুহাসিনী লোকটির সহিত বাগানে প্ৰবেশ করিল ; যাইতে যাইতে বলিল, “আপনি আমাদের কাছে আসিয়াছেন ?” “হা, একটু কাজ আছে।” সুহাসিনী আর কোন কথালৈ না, সত্বরপদে বাড়ীর দ্বারে আসিল ; তখন সে হঠাৎ লোকটির দিকে ফিরিয়া বলিল, “এ সকল কথা কাহাকেও বলিবেন না-এমন কি মাকেও না।”