পাতা:প্রতিজ্ঞা-পালন - পাঁচকড়ি দে.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७eडिडal-०व्लन । اه তবে কৃতান্তকুমারের উপর তঁহাদের খুবই বিশ্বাস আছে। গোয়েন্দাগিরিতে র্তাহার অত্যভূত ক্ষমতা যে আছে, তাহা তাহারা বেশ জানেন ; অপরাধীকে ধৃত করা সম্বন্ধেও তাঁহার প্রথা নূতন, সুতরাং ত্যাহারা নিশ্চিন্ত ছিলেন। বিশ্বাস ছিল, কৃতান্তকুমার যাহা বলিয়াছেন, তাহা করিবেন, এক মাসের মধ্যে খুনীকে অবশ্যই। ধরিয়া আনিবেন। গাড়ী হাবড়া ষ্টেশনে আসিলে কৃতান্তকুমার চন্দননগরের একখানা টিকিট কিনিয়া ট্রেণে উঠিলেন। • যথা সময়ে ট্ৰেণ চন্দননগর ষ্টেশনে উপস্থিত হইল ; কৃতান্তকুমার গাড়ী হইতে নামিয়া প্ল্যাটফৰ্ম্মে দাড়াইলেন । গাড়ী ষ্টেশন ছাড়িয়া চলিয়া গেলে এবং অন্যান্য যাত্ৰিগণ ষ্টেশন হইতে বাহির হইয়া গেলে, তিনি একজন রেলের জমাদারকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “এখানে গোপাল বলিয়া কোন লোক কাজ ८द्र ?” সে বলিল, “গোপাল! কোন গোপাল ?” “এই রেলে-এই ষ্টেশনে সে কাজ করে।” “এক গোপাল পয়েণ্টম্যানু আছে।” “হঁ, হা-সেই-ই।” “ঐ ডিষ্ট্যাণ্ট সিগনাল গুমটীতে সে থাকে।” “রটে, এই লাইনের উপর দিয়া যাইব ?” “পাশ দিয়া যান। গোপালকে আপনার কি দরকার ?” “সে আমাদের দেশের লোক।” জমাদার আর কোন কথা না কহিয়া অন্য কাজে চলিয়া গেল । কৃতান্তকুমার লাইনের উপর দিয়া দূর গুমটীর দিকে চলিলেন। কিয়দৱ আসিয়া কৃতান্তকুমার দেখিলেন, একটি দ্বাদশবৰ্ষীয়া বালিকা হাতে করিয়া কি লইয়া গুমটীর দিকে যাইতেছে। কৃতান্তকুমার মনে মনে মলিলেন, “এইটাই সে-ই-বাবার জন্য কিছু খাবার লইয়া যাইতেছে ।