পাতা:প্রতিজ্ঞা-পালন - পাঁচকড়ি দে.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰতিজ্ঞা-পালন । br\O “না, এখনই আমায় দাও,” বলিয়া সুরেন্দ্ৰনাথ ক্ষিপ্ত ব্যান্ত্রের ন্যায় লম্বন্ধ দিয়া তাহার হাত হইতে ছবিখানি ছিনাইয়া লইবার চেষ্টা করিালেন। কিন্তু আগন্তুক আগে হইতেই এজন্য সাবধান ছিল ; ক্ষিপ্ৰবেগে ছবিখানি পশ্চাদিকে লইয়া সরিয়া দাড়াইল । তাহার পর ধীরে ধীরে বলিল, “এ ছবিখানা কাহাকে দেখাইতে আপনার এত ভয় কেন ? এ কাহার ছবি-দেখি,” বলিয়া ছবিখানি দেখিয়াই সে বলিয়া উঠিল, “তাই ত-এ কি ?” সুহাসিনীর মা তাহদের ভাব দেখিয়া ভীত ও বিস্মিত হইয়াছিলেন ; বলিলেন, “কি হইয়াছে, এ কাহার ছবি ?” আগন্তুক বলিল, “তাঁহাই ত ইহা কখনও মনে করি নাই-এ যেএ-যে স্ত্রীলোক খুন হইয়াছে, তাহারই ছবি।” সুহাসিনীর মাথা ঘুরিয়া গেল, তাহার জননীও মহাবিস্ময়ে বিস্ফারিতনয়নে সুরেন্দ্ৰনাথের মুখের দিকে চাহিলেন। সুরেন্দ্ৰনাথ সংরক্তনেত্ৰে গৰ্জিয়া বলিলেন, “যথেষ্ট স্পৰ্দ্ধা দেওয়া * হইয়াছে, আর নয়-এখনই এ সব রাখিয়া এখান হইতে চলিয়া যাও না হইলে--” বলিতে বলিতে হঠাৎ থামিয়া গেলেন। আগন্তক ভয় না পাইয়া বলিল, “না হইলে কি, বলুন।” সুরেন্দ্রনাথ দৃঢ়স্বরে বলিলেন, “গলা ধরিয়া বাহির করিয়া দিব।” আগন্তুক ধীরভাবে বলিলেন, “ইহা আপনার পক্ষে যুক্তিযুক্ত নয়, তাহা হইলে আমি বরাবর থানায় গিয়া এ সকল জমা দিব। এখন তাহাই আমার কৰ্ত্তব্য ।” ক্ৰোধে সুরেন্দ্রনাথের মুখখানা লাল হইয়া গেল। তিনি বলিলেন, “তাহাতে আমি ভয় করি না, তুমি নিশ্চয়ই এ পকেট-বই আমার পকেট হইতে চুরি করিয়াছিলে। চল, থানায় তোমাকে ধৱাইয়া দিব।”