পাতা:প্রবন্ধ পুস্তক-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ংখ্যদর্শন। や○ ছিলেন, আমরা এমত বিবেচনা করি না। আমাদিগের বিবে চনায় সংখ্যকার অন্তরে বেদ মানিতেন না। কিন্তু তাৎকালিক সমাজে ব্রাহ্মণে এবং দার্শনিকে কেহ সাহস করিয়া বেদের অবজ্ঞা করিতে পারিতেন না। এজন্য তিনি মৌখিক বেদভক্তি প্রকাশ করিয়াছিলেন এবং যদি বেদ মানিতে হইল তবে অবশ্যকমত প্রতিবাদীfদগকে নিরস্ত করিবার জন্য স্থানে স্থানে বেদের দোহাই দিয়াছেন । কিন্তু তিনি অস্তরে বেদ মানিতেন বোধ হয় না। বেদ পৌরুষেয় নহে, অপেরুষেয়ও নহে, একথা কেবল ব্যঙ্গ মাত্র । সুত্রকারেয় এই কথা বলিবার অভিপ্রায় বুঝা যায়, যে “দেখ, তোমরা যদি বেদকে সৰ্ব্বজ্ঞানযুক্ত বলিতে চাহ, তবে বেদ না পৌরুষেয়, না অপেীরুযেয় হইয়া উঠে। বেদ অপৌরুষেয় নহে, ইহার প্রমাণ বেদে আছে। তবে ইহা যদি পৌরুষেয় হয়, তবে ইহাও বলিতে হইবে, যে ইহা মমুয্যকৃত, কেন না সৰ্ব্বজ্ঞ পুরুষ কেহ নাই, তাহা প্রতিপন্ন করা গিয়াছে।” যদি এ সকল সুত্রের এরূপ অর্থ ন কয় যায়, তবে অদ্বিতীয় দূরদর্শী দার্শনিক সাংখ্যকরকে অল্পবুদ্ধি বলিতে হয়। তাহা কদাপি বলা যাইতে পারে না। বেদ যদি পৌরষেয় নহে, অপৌরুষেয়ও নহে, তবে বেদ মানিব কেন ? সাংথাকার এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আবশ্যক বিবেচনা করিয়াছিলেন । আজি কালিকার কথা ধরিতে গেলে বোধ হয় এত বড় গুরুতয় প্রশ্ন তারতবর্ষে আর কিছুই নাই । একদল বলিতেছেন, সনাতন ধৰ্ম্ম বেদমূলক ; তোমরা এ সৰ্নাতন ধৰ্ম্মে ভক্তিহীন কেন ? তোমরা বেদ মান না কেন? আয় এক দল বলিতেছেন, আমরা বেদ মানিব কেন? সমুদায় ভায়তবর্ষ এই দুই দলে বিভক্ত। এই দুই প্রশ্নের উত্তর লইয়া বিৱাদ হইতেছে। ভারতবর্ষের ভাবী মঙ্গলামঙ্গল এই প্রশ্নের,