পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ খবর জানানো, সাহিত্যের উদ্দেশ্য মানষের মনকে জাগানো; কাব্য যে সংবাদপত্র নয়, এ কথা সকলেই জানেন। তৃতীয়তা অপরের মনের অভাব পণ্যে করবার উদ্দেশ্যেই শিক্ষকের হস্তে শিক্ষা জন্মলাভ করেছে, কিন্তু কবির নিজের মনের পরিপণতা হতেই সাহিত্যের উৎপত্তি। সাহিত্যের উদ্দেশ্য যে আনন্দদান করু, শিক্ষাদান করা নয়, একটি উদাহরণের সাহায্যে তার অকাট্য প্রমাণ দেওয়া যেতে পারে। বালিমীকি আদিতে মনিঋষিদের জন্য রামায়ণ রচনা করেছিলেন, জনগণের জন্য নয়। এ কথা বলা বাহাল্য যে, বড়ো বড়ো মনিঋষিদের কিঞ্চিৎ শিক্ষা দেওয়া তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না। কিন্তু রামায়ণ শ্রবণ করে মহাষিরাও যে কতদাের আনন্দে আত্মহারা হয়েছিলেন তার প্রমাণ তাঁরা কুশীলবকে তাঁদের যথাসব সম্ভব, এমন-কি, কৌপীন পর্যন্ত, পেলা দিয়েছিলেন। রামায়ণ কাব্য হিসাবে যে অমর এবং জনসাধারণ আজও যে তার শ্রবণেপঠনে আনন্দ উপভোগ করে তার একমাত্র কারণ, আনন্দের ধমই এই যে তা সংক্ৰামক। অপর পক্ষে লাখে একজনও যে যোগবাশিল্ঠ রামায়ণের ছায়া মাড়ান না। তার কারণ, সে বস্তু লোককে শিক্ষা দেবার উদ্দেশ্যে রচিত হয়েছিল, আনন্দ দেবার জন্যে নয়। আসল কথা এই যে, সাহিত্য কাঁপমেনকালেও সবুকুলমাসন্টারির ভার নেয় নি। এতে দঃখ করবার কোনো কারণ নেই। দঃখের বিষয় এই যে, স্কুলমাস্টারেরা @काळ जशिष्ठद्ध खाद्म निझछन् । 囊 কাব্যরস নামক অমতে যে আমাদের অরচি জন্মেছে, তার জন্য দায়ী এ যাগের স্কুল এবং তার মাস্টার। কাব্য পড়বার ও বোঝবার জিনিস, কিন্তু সবুকুলমাস্টারের কাজ হচ্ছে বই পড়ানো ও বোঝানো। লেখক এবং পাঠকের মধ্যে এখন সৰুকুলমাস্টার দন্ডায়মান। এই মধ্যস্থদের কৃপায় আমাদের সঙ্গে কবির মনের মিলন দরে যাক, চার চক্ষর মিলনও ঘটে না। স্কুলঘরে। আমরা কাব্যের রােপ দেখতে পাই নে, শািন্ধ তার গণ শনি। টীকা-ভাষ্যের প্রসাদে আমরা কাব্য সম্পবন্ধে সকল নিগঢ়ি তত্ত্ব জানি, কিন্তু সে যে কি বস্তু তা চিনি নে। আমাদের শিক্ষকদের প্রসাদে আমাদের এ জ্ঞান লাভ হয়েছে যে, পাথরে-কয়লা হীরার সবৰ্ণ না হলেও সগোত্ৰ; অপর পক্ষে হীরক ও কাচ যমজ হলেও সহোদর নয়। এর একের জন্ম পথিবীর গভে1, অপরটির মানষের হাতে; এবং এ উভয়ের ভিতর এক দা-কুমড়ার সম্প্রবন্ধ ব্যতীত অপর কোনো সম্পবিন্ধ নেই। অথচ এত জ্ঞান সত্ত্বেও আমরা সাহিত্যে কাচকে হীরা এবং হীরাকে কাচ বলে নিত্য ভুল করি, এবং হীরা ও কয়লাকে একশ্রেণীভুক্ত করতে তিলমাত্রেও দিবধা করি নে, কেননা ওরাপ করা যে সংগত তার বৈজ্ঞানিক প্রমাণ আমাদের মখস্থ আছে। সাহিত্য শিক্ষার ভার নেয় না, কেননা মনোজগতে শিক্ষকের কাজ হচ্ছে কবির কাজের ঠিক উলটো। কারণ কবির কাজ হচ্ছে কাব্য সন্টি করা, আর শিক্ষকের কাজ হচ্ছে প্ৰথমে তা বধ করা, তার পরে তার শবচ্ছেদ করা, এবং ঐ উপায়ে তার তত্ত্ব আবিহুকার করা ও প্রচার করা। এই-সব কারণে নিভয়ে বলা যেতে পারে যে, কারো মনোরঞ্জন করাও সাহিত্যের কাজ নয়, কাউকে শিক্ষা দেওয়াও DYS DD LBBB DDLDB BBBDB DDS KBBD DBDLB BD DDD S DDB000 সাহায্যে এই মাত্রই প্রমাণ করা যায়। তবে বস্তু যে কি, তার জ্ঞান অনভূতিসাপেক্ষ তক সাপেক্ষ নয়। সাহিত্যে মানবাত্মা খেলা করে এবং সেই খেলার আনন্দ উপভোগ