পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बाराद्ध ख्वव९ SOS বোঝা যায় না। সতরাং এ জাতি যে কস্মিনকালেও অজ্ঞাতকুলশীল জমান ভাষার প্রাধান্য সবীকার করে নি, তা বলা বাহল্য। এমন-কি, যে জমান দশন গত শতাব্দীতে পথিবীর শিক্ষিতসমাজের মনের উপর একছত্র এবং অখন্ড রাজত্ব করেছে সে দর্শনও ফরাসি মনকে বেশিদিন আত্মবশে রাখতে পারে নি। প্ৰসিদ্ধ ফরাসি লেখক তেইন গত শতাব্দীর মধ্য ভাগে এই কত প্ৰকাশ করেন যে, জমানি তৎপর্ববতী একশো বৎসর যা চিন্তা করেছে, তৎপরবতী একশো বৎসর সমগ্র ইউরোপকে সেই চিন্তার পােনশিচন্তা করতে হবে। এ ভবিষ্যদবাণী যে খেটেছে, তার প্রমাণ আমরা আমাদের বিশববিদ্যালয়েই পাই। এ যাগের যে ইংরেজি দশন আমরা চর্চা করি, তা যে গত যাগের জমান দর্শনের পােনরাবত্তি মাত্র, তার পরিচয় নব-কান্টিয়ান, নব-হেগেলিয়ান প্রভৃতি নামেই পাওয়া যায়। আমরা দর-এশিয়াবাসী হয়েও জমান দর্শনকে দরে রাখতে পারি নি। ; বরং সত্য কথা বলতে হলে, গত ত্ৰিশ বৎসর ধরে আমরাও শািন্ধ জমানির তৈরি বৈজ্ঞানিক খাদ্য উদারস্থ করছি, আর তার জাবর কাটছি। মনোজগতে যে ল্যাটিন নামক একটি প্রদেশ আছে যা কুয়াশায় ঢাকা নয়, এ কথা আমরা নিজেরা আলোর দেশের লোক হয়েও একরকম ভুলেই গিয়েছিলাম। একবৰ্ণ জমান না জেনেও Nietsche নিৰ্টশের বই আমরা অনেকেই পড়েছি এবং তাঁর কথার দািকল-ভাসানো বন্যায় হাবডুবও খেয়েছি, কিন্তু ফরাসি দার্শনিক Guyot গইয়োর নাম আমরা অনেকেই শনি নি, যদিচ উভয়েই মনোরাজ্যে একই পথের পথিক ; দইয়ের ভিতর প্ৰভেদ এই যে, যে পথে ফরাসি গাইয়ো ধীরপদক্ষেপে অগ্রসর হয়েছেন, সেই পথে জমান নিটশে তান্ডবনিত্য করেছেন। নকুলীশ-পাশাপতদর্শনে দেখতে পাই যে, পাশাপতসম্প্রদায়ের সাধনমাগে উপহারসংজ্ঞক ছয়প্রকার ব্রুিয়া ছিল। তার মধ্যে প্রধান চারটি হচ্ছে, হা হা করে হাস্য করা, গন্ধব শাস্ত্রানসারে গীত গাওয়া, নাট্যশাস্ত্রানসারে নিত্য করা এবং হাভকার করা অর্থাৎ পঙ্গবের ন্যায় চিৎকার করা। নিট শের লেখা পড়ে আমার মনে হয় যে, নকুলীশ-পাশাপতদশন ভারতবর্ষে তার ভবলীলা সংবরণ করে জমানিতে আবার পানজন্ম লাভ করেছে। গ্যেটে এবং কাস্ট সাহিত্যের জগদগর হলেও এ কথা নিঃসন্দেহ যে, বিশ্ববিমানবের মনের উপর আধনিক জমান মনের প্রভাব যেমন অকারণ তেমনি মারাত্মক ; কেননা জমান দশন অপর জাতির মনের আকাশ ঘলিয়ে দেয় ; জমােন আত্মার অশেষ গণের মধ্যে একটি হচ্ছে কুয়াশা সন্টি করবার শক্তি, এবং সে কুয়াশার গতিরোধ করাও যেমন কঠিন, তার প্রকোপে মনের সম্ববাস্থ্যরক্ষা করাও তেমনি কঠিন। এ সত্য ফরাসি জাতিই সব প্ৰথমে আবিস্কার করে। যে সময়ের জমােন আত্মা আমাদের ঘাড়ে চড়তে শর করে, ঠিক সেই সময়ে তা ফরাসিদের ঘাড় থেকে নেমে যেতে শার করে। আজ প্রায় ত্ৰিশ বৎসর পতবে তেইন-এর একটি ধনাধর শিষ্য মরিস বাররে Maurice Barres ল্যাটিন মনের উপর জমােন মনের এই বিজাতীয় উপদ্রবের উচেছদকলোপ লেখনী ধারণ করেন। যে পাস্তকে তিনি মনোজগতে জমান শাসনের বিরদ্ধে rvCITCT 36r, (s. 9.-VGS ris Under the Eyes of the Barbarians জমান জাতির আদিম ববীরতা যে এ যাগে বৈজ্ঞানিক বর্বরতার আকার ধারণ