পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वारखाद्म छविष९ 9(ܡܠ জীবন্ত ভাষার বিরোধের/চাইতে সাধভাষার সঙ্গে চলতি ভাষার কলহের কলরবটা DBB BBBS BDBDBD LL LBB BTDBBSBDD LDDD LDDDD DDB BDBDD BB uDDBS জগতে মৌখিক ভাষার যথাৰ্থ শিক্ষাগার। সতরাং মৌখিক ভাষার পক্ষে সাহিত্যরাজ্য অধিকার করবার প্রয়াসটা সত্যসত্যই শিষ্যের পক্ষে গরকে ছাড়িয়ে ওঠাবার চেন্টা। এ অবস্থায় সাহিত্যের দ্রোণাচায্যেরা যে সাহিত্যের একলব্যদের অঙ্গলিচ্ছেদের আদেশ দেবেন, তাতে আর আশ্চৰ্য কি। এতে অবশ্য ভয় পেলে সর্বভাষাকে স্বরাট করে তোলা যাবে না। এ কথাটা শ্রতিকট হলেও সত্য যে, গরভান্তি না থাকলে যেমন সনাতন বিদ্যা অজন করা যায় না, তেমনি গরমোরা বিদ্যে না। শিখলেও নাতন সাহিত্যের সর্জন করা যায় না। শেলটাে-অ্যারিস্টটলের যােগ থেকে শর করে অদ্যাবধি সকল দেশের সকল যাগের সাহিত্যের ইতিহাস এই সত্যের পরিচয় দিয়ে আসছে। অতএব বইয়ের ভাষার সঙ্গে মাখের ভাষার যন্ধটা নিরর্থকও নয়, নিলফলও নয়। মতভাষার সঙ্গে জীবন্ত ভাষার, বিদেশী ভাষার সঙ্গে সর্বদেশী ভাষার লড়াইও তো ঐ বইয়ের ভাষার সঙ্গে মাখের ভাষার জীবন সংগ্ৰাম বই আর কিছই নয়। ইউরোপ হতে সংগহীত এই ইতিহাসের আলোক বঙ্গ ভাষার উপর ফেলে দেখা যাক, আমাদের মাতৃভাষার বতর্তমান অবস্থাটা কি। বঙ্গ ভাষার পরাতত্ত্ব আমরা আজও পরো জানি নে ; কিন্তু বঙ্গ সাহিত্যের ইতিহাস আমাদের কাছে একেবারে অবিদিত নয়। এ ইতিহাসের দটি সম্পপণ্য পথক অধ্যায় আছে। আমাদের সাহিত্যের যে যােগ গত হয়েছে সেটিকে নবাবি যােগ, এবং যে যােগ আগত হয়েছে, সেটিকে সাহেবি যােগ বলা যায়। নবাবি যাগের সাহিত্যে, ছড়া পাঁচালি পদাবলী ও সংস্কৃত কাব্যের প্রাকৃত অন্যবাদ ব্যতীত আর কিছই পাওয়া যায় না ; এক কথায় এ সাহিত্য হচ্ছে পদ্যে লেখা গান ও গলে পর সাহিত্য। কিন্তু নবাবি আমলে বাঙালি যে একমাত্র উদরান্ন ব্যতীত অপর কোনো বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করে নি, এ কথা সত্য নয়। সে যাগে এ দেশে ধমশাস্ত্র ও ন্যায়শাস্ত্রের যথেস্ট চৰ্চা ছিল। জনরব যে, মনসিংহিতার মন্দ্বর্থমন্তাবলীর রচয়িতা কুল্লকভট্ট তাহিরপরের রাজবংশের, এবং কুসমাঞ্জলির প্রণেতা উদয়নাচাৰ্য ভাদড়িকুলের আদিপরষ। এ প্রবাদ সত্য বলে গ্রাহ্য করে নেবার দিকে আমার মনের একটা স্বাভাবিক ঝোঁক আছে, কেননা আমি জাতিতে বারেন্দ্রব্রাহ্মণ। তৎসত্ত্বেও প্রমাণের অসদ ভাবহেতু এ কিংবদন্তিতে কোনোরাপ আস্থা সস্থাপন করা যায় না। কিন্তু বাঙালির হাতে যে একটি নব্যান্যায় এবং একটি নব্যসন্মতি গড়ে উঠেছিল, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। বঙ্গদেশজাত এ-সকল সংস্কৃতশাস্ত্রের মাল্য যে কি, সে বিষয়ে মতামত প্ৰকাশ করবার অধিকার আমার নেই। সংস্কৃতশাস্ত্রে সম্পণ্ডিত আমার জনৈকু দ্রাবিড় বন্ধ বলেন যে, বাংলার নব্যন্যায় যে নব্য সে বিষয়ে সন্দেহ নেই, কিন্তু তা ন্যায় কি না সে বিষয়ে বিশেষ সন্দেহ আছে।