পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SG R প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ অধিকাংশ লোকই একমত। আমি বলি, শােধ ব্যৰ্থ নয়, অনেক সস্থলে মায়াত্মনাম; কেননা আমাদের স্কুলকলেজ ছেলেদের সবশিক্ষিত হবার যে সংযোগ দেয় না, শধ তাই নয়, স্বশিক্ষিত হবার শক্তি পর্যন্ত নন্ট করে। আমাদের শিক্ষাব্যন্ত্রের মধ্যে যে যােবক নিপোষিত হয়ে বেরিয়ে আসে, তার আপনার বলতে আর বেশি কিছ থাকে না, যদি না তার প্রাণ অত্যন্ত কড়া হয়। সৌভাগ্যের বিষয় এই ক্ষীণপ্ৰাণ জাতির মধ্যেও জনকতক এমন কঠিন প্রাণের লোক আছে, এহেন শিক্ষাপদ্ধতিও যাদের LBD DL DLL BODL D DOLLL E S আমি লাইব্রেরিকে স্কুলকলেজের উপরে স্থান দিই এই কারণে যে, এ স্থলে লোকে স্বেচ্ছায় স্বচ্ছন্দচিত্তে সবশিক্ষিত হবার সংযোগ পায়; প্রতি লোক তার স্বীয় শক্তি ও রাচি -অনসারে নিজের মনকে নিজের চেন্টায় আত্মার রাজ্যে জ্ঞানের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। স্কুলকলেজ বর্তমানে আমাদের যে অপকার করছে, সে অপকারের প্রতিকারের জন্য শািন্ধ নগরে নগরে নয়, গ্রামে গ্রামে লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠা করা কতব্য। আমি পাবে বলেছি যে, লাইব্রেরি হাসপাতালের চাইতে কম উপকারী নয়; তার কারণ আমাদের শিক্ষার বতর্তমান অবস্থায় লাইব্রেরি হচ্ছে একরকম মনের इानटाउाद्ध অতঃপর আপনারা জিজ্ঞাসা করতে পারেন যে, বই পড়ার পক্ষ নিয়ে এ ওকালতি করবার, বিশেষত প্রাচীন নজির দেখাবার, কি প্রয়োজন ছিল ? বই পড়া যে ভালো, তা কে না মানে ? আমার উত্তর, সকলে মাখে মানলেও, কাজে মানে না। মসলমানধমে মানবজাতি দাই ভাগে বিভক্ত : এক যারা কেতাবি, আর-এক যারা তা নয়। বাংলার শিক্ষিতসমাজ যে পদবী দলভুক্ত নয়। এ কথা নিভয়ে বলা যায় না; আমাদের শিক্ষিতসম্প্রদায় মোটের উপর বাধ্য না হলে বই সপশ করেন না। ছেলেরা যে নোট পড়ে এবং ছেলের বাপেরা যে নজির পড়েন, সে দইই বাধ্য হয়ে, অর্থাৎ পেটের দায়ে। সেইজন্য সাহিত্যচৰ্চা দেশে একরকম নেই বললেই হয়, কেননা সাহিত্য সাক্ষাৎভাবে উদরপতির কাজে লাগে না। বাধ্য হয়ে বই পড়ায় আমরা এতটা অভ্যস্ত হয়েছি যে, কেউ স্বেচ্ছায় বই পড়লে আমরা তাকে নিৰ্দ্ধকমার দলেই ফেলে দিই, অথচ এ কথা কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না, যে জিনিস স্বেচ্ছায় না করা যায়, তাতে মানষের মনের সন্তোষ নেই। একমাত্র উদরপতিতে মানষের সম্পপণ্য মনস্তুটি হয় না। এ কথা আমরা সকলেই জানি যে, উদরের দাবি রক্ষা না করলে মানষের দেহ বাঁচে না; কিন্তু এ কথা আমরা সকলে মানি নে যে, মনের দাবি রক্ষা না করলে নানষের আত্মা বাঁচে না। দেহরক্ষা অবশ্য সকলেরই কতব্য, কিন্তু আত্মরক্ষাও অকতব্য নয়। মানবের ইতিহাসের পাতায় পাতায় লেখা রয়েছে যে, মানষের প্রাণ মনের সম্পক যত হারায়, ততই তা দিবলৈ হয়ে পড়ে। মনকে সজাগ ও সবল রাখতে না পারলে জাতির প্রাণ যথাৰ্থ সফর্মুতি লাভ করে না। তার পর যে জাতি যত নিরানন্দ, সে জাতি তত নিজীব। একমাত্র আনন্দের পশেই মানষের মনপ্রাণ