পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

aNaNa is SCG R এখন জিজ্ঞাস্য হচ্ছে, রামমোহন রায় এই অলপকালের মধ্যেই ইতিহাসের বহির্ভূত হয়ে কিংবদন্তির অন্তর্ভূত হয়ে পড়লেন কেন। এ প্রশেনর সহজ উত্তর এই যে, সাধারণত লোকের মনে এইরকম একটা ধারণা আছে যে, রামমোহন রায় বাঙালি জাতির একজন মহাপরিষ নন, কিন্তু বাংলার একটি নব ধৰ্মসম্প্রদায়ের একজন भाख्न्म । এ ভাল ধারণার জন্য দোষী কে ? ব্রাহ্মসমাজ না হিন্দসমাজ ? এ প্রশেনর উত্তর আজকের সভায় দিতে আমি প্রস্তুত নই, কেননা তা হলেই নানারাপ মতভেদের পরিচয় পাওয়া যাবে, নানারপ তাক উঠবে এবং সে তক শেষটা বাকবিতািডায় পরিণত হবে। ইংরেজদের ভদ্রসমাজে ধম ও পলিটিক্সের আলোচনা নিষিদ্ধ, কেননা বহকালের সঞ্চিত অভিজ্ঞতার ফলে প্রমাণ হয়েছে যে, এই দই বিষয়ের আলোচনায় লোকে সচরাচর ধৈয্যের চাইতে বীৰ্য বেশির ভাগ প্রকাশ করে। ফলে বন্ধবিচ্ছেদ জ্ঞাতিবিরোধ প্রভাতি জন্মলাভ করে, এক কথায় হাত হাত সমাজের শান্তিভঙ্গ হয়। এ ক্ষেত্রে আৗম রামমোহন রায়ের ধমমতের আলোচনায় যদি প্রবত্ত হই, তা হলে তাঁর সমসাময়িক সেই পরোনো কলহের আবার সন্টি করব। একশো বৎসর আগে রামমোহন রায়কে তাঁর বিপক্ষ দলের কাছ থেকে যে-সকল ব্যক্তিত্তক শনিতে হত, আজকের দিনে আমাদেরও সেই-সব ব্যক্তিতক শনিতে হবে। রামমোহন রায়ের রচিত পথ্যপ্ৰদান প্রভাতি পড়ে দেখবেন, সে যাগের ধর্মসংস্থাপনকারীরা যে ভাবে যে ভাষায় তাঁর মতের প্রতিবাদ করেছিলেন, এ যাগেও সেই ভাব সেই ভাষায় নিত্য প্রকাশ পায়। এই একশো বৎসরের ভিতর মনোরাজ্যে আমরা বড়ো বেশিদাব এগোই নি। অতএব এ ক্ষেত্রে রামমোহন রায়ের ধমমত সম্পবন্ধে নীরব থেকে তাঁর সামাজিক মতেরই যৎকিঞ্চিৎ পরিচয় দিতে চেন্টা করব। তার থেকেই দেখতে পাবেন যে, তাঁর চাইতে বড়ো মন ও বড়ো প্ৰাণ নিয়ে এ যাগে ভারতবর্ষে অপর কোনো ব্যন্তি জন্মগ্রহণ করেন নি। মানষমাত্রেরই জ্ঞানের আশ্রয় হচ্ছে দটি বাইরের জিনিস ; এক মানবসমাজ, আর-এক বিশাব। ইংরেজি দশনের ভাষায় যাকে cosmic consciousness q-R social consciousness Ce, stralias G. a we consciousness অল্পবিস্তর আছে। এ বিশেবর অৰ্থ কি, এর সঙ্গে আমার সম্পবিন্ধ কি, সে সম্পবিন্ধ ইহজীবনের কি অনন্তকালের, এই শ্রেণীর প্রশেনর মল হচ্ছে কসমিক কনশাসনেস; এবং সকল ধম, সকল দশনের উদ্দেশ্য হচ্ছে এই-সব প্রশেনর জবাব দেওয়া। অপর পক্ষে ইহজীবনে কি উপায়ে আমার অভু্যদয় হবে, সমাজের সঙ্গে আমার সম্প্ৰবন্ধ কি, তার প্রতি আমার কর্তব্যই বা কি, কিরাপ কম সমাজের পক্ষে এবং সামাজিক ব্যক্তির পক্ষে মঙ্গলকর, এই শ্রেণীর প্রশেনর মল হচ্ছে সোশ্যাল কনশাসনেস ; তাই পলিটিক্স আইন শিক্ষা প্রভাতির উদ্দেশ্য হচ্ছে, সমাজের মঙ্গল সাধন করা। নিত্য দেখতে পাই যে, এ দেশের লোকের মনে এদানিক এই ভাল বিশদ্বাস জন্মলাভ করেছে যে, ভারতবর্ষে পর্যাকালে ছিল একমাত্র কসমিক কনশাসনেস