পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SO প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ খসেন্টধমের যে অংশ spiritual এবং ethi: 'al সে অংশের প্রতি অনকােল হওয়া ছাড়া উদারচেতা লোকের উপায়ান্তর নেই। আর রামমোহনের সর্বভাবের আর যে দোষই থাকুক। তিনি সংকীৰ্ণমনা ছিলেন না। ধম সম্পবন্ধে তাঁর অন্তরে যে গোঁড়ামির লেশমাত্র ছিল না, তিনি যে একটি নতুন সম্প্রদায় গড়তে চান নি, কিন্তু সবজাতিকে ট্ৰসন্ট ডীডে পাবেন। পথিবীতে আমরা দ্য জাতীয় অতিমানষের সাক্ষাৎ পাই, এক যাঁরা saviour অর্থাৎ অবতার হিসেবে গণ্য, আর-এক যাঁরা liberator হিসেবে গণ্য। রাজা রামমোহন রায় ছিলেন এই শেষোক্ত শ্রেণীর একজন মহাপরিষ। (t DBB DDBB BBD DD DDBBDBD BBBBBD DLLD LMLLLLLL LLLLLL পরিচয় দিতে প্রতিশ্রত হয়েছি। তবে তাঁর ধমাবন্ধির পরিচয় না দিলে তাঁর সম্বন্ধে আলোচনা অঙ্গহীন হয় বলে যতদর সম্পভব সংক্ষেপে “তাঁর দার্শনিক মনোভাবের পরিচয় দিতে বাধ্য হয়েছি। কারো ছবি আকিতে বসে তাঁর মাথা বাদ দিয়ে দেহটি অকলে সে চিত্র যে পর্ণাঙ্গ হয় না তা বলাই বাহল্য। রামমোহন রায় যখন যােবক তখন ইংরেজ এ দেশের একছত্র রাজা হয়ে বসেছেন। সমগ্ৰ দেশ তখন ইংরেজের রাষ্ট্রনীতির অধীন হয়ে পড়েছে, আমাদের সমগ্র জীবনের উপর ইগুগ-সভ্যতার প্রভাব এসে পড়েছে। ইংরেজের শাসন ও ইংরেজি সভ্যতার প্রভাব যে আমাদের জাতীয় জীবনের মহা পরিবতন ঘটাবে, এ সত্য সব প্রথমে রামমোহন রায়ের চোখেই ধরা পড়ে। এই অতুলশক্তিশালী নবসভ্যতার সংঘর্ষে ভারতবাসীদের অন্তত আত্মরক্ষার জন্যও সে সভ্যতার ধামকমের পরিচয় নেওয়াটা নিতান্ত আবশ্যক হয়ে পড়েছিল। এই যগসন্ধির মখে একমাত্র রামমোহন রায়ের অন্তরে সমগ্ৰ ভারতবর্ষ তার আত্মজ্ঞান লাভ করেছিল। রামমোহন। এই মহাসত্য আবিস্কার করেন যে, এই নবসভ্যতার সাহায্যে ভারতবাসী, শািন্ধ আত্মরক্ষা নয়, সািবজাতির আত্মোন্নতি করতে পারবে। তাই জাতীয় আত্মোন্নতির যে পথ তিনি ধরিয়ে দিয়ে গিয়েছেন, অদ্যাবধি আমরা সেই পথ ধরে চলেছি। ইতিমধ্যে আর কেউ কোনো পথ আবিহুকার করেছেন বলে তো আমার জানা নেই। যাকে সময়ে সময়ে আমরা নািতন পথে যাত্রা বলি, সে রামমোহন রায়ের প্রদর্শিত মাগো পিছ হাটবাব প্রয়াস ছাড়া আর কিছই নয়। Vy পথিবীতে যে-সকল লোককে আমরা মহাপরিষ বলি, তাঁরা প্রত্যেকেই জাতীয় মন ও জাতীয় জীবনকে এমন একটা নতুন পথ ধরিয়ে দেন, যে পথ ধরে মান যে মনে ও জীবনে অগ্রসর হয়। যে পথে অগ্রসর হয়ে অতীত ভারতবর্ষ বতমান ভারতবর্ষে এসে পৌছেছে সে পথের তিনিই হচ্ছেন সব প্রথম দুটা এবং প্রদশক। আমাদের জীবনে যে নবযােগ এসেছে তিনিই হচ্ছেন সে যাগের আবাহক।