পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V) eveva ধন্মের নিন্দা ও হিন্দরে দেবতার, ও ঋষির জগাপসা ও কুৎসাতে পরিপািণ হয়, দ্বিতীয় প্রকার এই যে লোকের দাবারের নিকট অথবা রাজপথে দাঁড়াইয়া আপনার ধমের ঔৎকৰ্য ও অন্যের ধমের অপকৃষ্টতাসচক উপদেশ করেন, তৃতীয় প্রকার এই যে কোনো নীচলোক ধনাশায় কিংবা অন্য কোনো কারণে খিসটান হয় তাহাদিগ্যে কৰ্ম্ম দেন ও প্রতিপালন করেন বাহাতে তাহা দেখিয়া অন্যের ঔৎসােক্য জন্মে। যদ্যপিও য়িশাখিল্টের শিষ্যেরা স্বধৰ্ম্মম সংস্থাপনের নিমিত্ত নানা দেশে আপনি ধন্মের ঔৎকর্ষ্যের উপদেশ করিয়াছেন। কিন্তু ইহা জানা কত্তব্য যে সে সকল দেশ তাঁহাদের অধিকারে ছিল না। সেই রােপ মিসনরিরা ইংরেজের অনধিকারের রাজ্যে যেমন তুরকি ও পারসিয়া প্রভৃতি দেশে যাহা ইংলন্ডের নিকট হয় এরূপ ধৰ্ম্ম উপদেশ ও পশতক প্রদান যদি করেন তবে ধৰ্ম্মমার্থে নিভীয় ও আপনি আচায্যের যথাৰ্থ অনগামীরুপে প্ৰসিদ্ধ হইতে পারেন। কিন্তু বাঙ্গালাদেশে যেখানে ইংরেজের সম্পণে অধিকার ও ইংরেজের নাম মাত্রে লোক ভীত হয় তথায় এরােপ দৰবল ও দীন ও ভয়াত্ত প্রজার উপর ও তাহদের ধমের উপর দৌরাত্য করা কি ধৰ্ম্মত কি লোকত প্রশংসনীয় হয় না, যেহেতু বিজ্ঞ ও ধাৰ্ম্মিক ব্যক্তিরা দশবলের মনঃপীড়াতে সব্বদা সংকুচিত হয়েন তাহাতে যদি সেই দশাবল তাঁহাদের অধীন হয় তবে তাহার মৰ্ম্মান্তিক কোনোমতে অন্তঃকারণেও করেন না। এই তিরস্কারের ভাগী আমরা প্রায় নয় শত বৎসর অবধি হইয়াছি ও তাহার কারণ আমাদের অতিশয় শিক্ষটতা ও হিংসা ত্যাগকে ধৰ্ম্মম জানা ও আমাদের জাতিভেদ যাহা সৰুব প্রকারে অনৈক্যতার মল হয়। লোকের সর্বভাবসিদ্ধি প্রায় এই যে যখন এক দেশীয় লোক অন্য দেশকে আক্রমণ করে সেই প্রবলের ধৰ্ম্ম যদ্যপিও হাস্যাস্পদ সবরাপ হয় তথাপি ঐ দৰবল দেশীয়ের ধৰ্ম্মম ও ব্যবহারের উপহাস ও তুচ্ছতা করিয়া থাকে ১... যন্তিবন্ত ও সত্যমলেক হলে বিদ্যাপ যথেস্ট ভদ্র হয়েও যে কতদার সাংঘাতিক হতে পারে, উপরোক্ত বাক্য কটি তার একটি চমৎকার উদাহরণ। এই শ্রেণীর মারাত্মক বিদ্যুপে রামমোহন রায় সিদ্ধহস্ত। বিপক্ষের সঙ্গে তাক যন্ধে শিম্পটতা তিনি কখনো ত্যাগ করেন নি; কিন্তু হিংসা ত্যাগকে ধম জানা’ তাঁর স্বভাব ও শিক্ষা দাইয়েরই বিরুদ্ধে ছিল। প্রসিদ্ধ জমান কবি হাইনরিখ হাইনে Heinrich Heine বলে গিয়েছিলেন যে, তাঁর গোরের উপর যেন এই কাটি কথা লেখা থাকে যে, He was a brave soldier in the war of liberation of humanity'--a খ্যাতি রামমোহন রায় অনায়াসে আত্মসাৎ করতে পারেন। মানষের মন্তির জন্য তিনি জীবনের সকল ক্ষেত্রেই যন্ধ করতে প্ৰস্তুত ছিলেন। জৈন বৌদ্ধ প্রভৃতি অহিংসামািলক ধম তাঁর মনের উপর কখনো প্ৰভুত্ব করে নি, তিনি ছিলেন বেদপন্থী ব্রাহ্মণ, অর্থাৎ রাজসিকতার মাহাত্ম্য তাঁর নিকট অবিদিত ছিল না। তামসিকতা যে অনেক স্থলে সাত্ত্বিকতার ছদ্মবেশ ধারণ করে, এ সত্যও তাঁর সম্পপণ জানা ছিল। আমরা, এ যাগের বাঙালি লেখকেরা, তাঁর কাছ থেকে একটি মহাশিক্ষা লাভ করতে পারি। তক ক্ষেত্রে সৌজন্য রক্ষা ক'রে কী ক'রে প্রতিপক্ষকে পরাভূত করা যায়, তার সংগ্ৰধান আমরা রামমোহন রায়ের লেখার ভিতর পাব, অবশ্য যদি আমরা সাহিত্যে একমাত্র বৈধ-হিংসার চৰ্চা করতে প্ৰস্তুত থাকি। যা অসত্য, যা অন্যায়, যা অবৈধ, তার পক্ষে যিনি লেখনী ধারণ করবেন তাঁর গর, রামমোহন রায় কখনোই 歌■ ১ ব্লাহ্মণসেবধি (১৮২১)