পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

द्वाभCभाश्न्म द्रा nV O হতে পারেন না। কেননা তাঁর শাস্ত্রশাসিত মন অধম যন্ধের একান্ত প্রতিকল। এখন প্রশন হচ্ছে যে, এ ক্ষেত্রে রামমোহন রায় কিসের বিরদ্ধে অসি ধারণ করেছিলেন। খািস্টধমের বিরদ্ধে নয়, কেননা কোনো ধমমতের প্রতি তাঁর বিদ্বেষ छिळ ना । उाँझ नद्दछद्र दक्ष्था शे ...নিন্দা ও তিরস্কারের দ্বারা অর্থবা লোভ প্রদর্শন দ্বারা ধর্ম সংস্থাপন করা যক্তি ও বিচারসহ হয় না। তবে বিচারবলে হিন্দর ধৰ্ম্মেমরি মিথ্যাত্বি ও আপনি ধৰ্ম্মেমর উৎকৃষ্টত্ব ইহা সস্থাপন করেন সতরাং ইচ্ছাপৰােবক অনেকেই তাঁহাদের ধৰ্ম্মম গ্রহণ করিবেক অথবা স্থাপন করিতে অসমর্থ হয়েন এরূপ ব্যথা ক্লেশ করা ও ক্লেশ দেওয়া হইতে ক্ষমাপন্ন হইবেন, ব্ৰাহ্মণ পন্ডিতের ক্ষদ্র গহে নিবাস ও শাকাদি ভোজন ও ভিক্ষোপজীবিকা দেখিয়া তুচ্ছ করিয়া বিচার হইতে যেনু নিবত্তে না হয়েন যেহেতু সত্য ও ধৰ্ম্ম সব্বদা ঐশ্ববৰ্য্য ও অধিকারকে ও উচ্চ পদবী ও বহৎ অট্টালিকাকে আশ্রয় করিয়া থাকেন। এমত নিয়ম নহে।১. অতএব পাল্ট দেখা যাচেছ যে, তিনি এ দেশে খসেন্টধমের প্রচারের পদ্ধতির বিরুদ্ধে লেখনী ধারণ করেছিলেন। কেননা উক্ত উপায়ে লোকের ধমমতের পরিাবতন ঘটানো সকল দেশেই উপদ্রববিশেষ এবং প্রবল রাজার জাতের পক্ষে দবােলপ্রজার জাতের উপর এরােপ ব্যবহার নিতান্ত অত্যাচার। রামমোহন রায় সেই অত্যাচারের বিরদ্ধেই নিভীক প্রতিবাদ করেছিলেন। যে যাগে ইংরেজের নামমাত্রে লোকে ভীত হত, সে যাগে ইংরেজের বিরদ্ধে এই তীব্র প্রতিবাদ করায় তিনি যে অসাধারণ সাহসের পরিচয় দিয়েছিলেন, সে সাহস সকল দেশে সকল যাগেই দলভি। আজকের দিনে যে মনোভাবকে আমরা জাতীয় আত্মমর্যাদাজ্ঞান বলি, রামমোহন রায়ের এই কাটি কথায় তার প্রথম পরিচয় পাওয়া যায়। তাঁর সমসাময়িক অপর কোনো ব্যক্তির মনে এ মনোভাবের যে লেশমাত্র ছিল, তার কোনো নিদর্শন নেই। কিন্তু যেটা বিশেষ করে আমাদের চোখে পড়ে সে হচ্ছে এই যে, এর মধ্যে মিছা আত্মশালাঘার নামগন্ধও নেই, অপর পক্ষে যথেস্ট পরিমাণে আত্মপালানিও আছে। সে যাগের বাঙালি যে দিবলৈ ভয়াত ও দীন ছিল সে কথা তিনি মন্তকণ্ঠে স্বীকার করেছেন, এবং কিসে সবজাতির দািব লতা ভীরতা ও দীনতা দাির করা যায়। সেই ছিল তাঁর একমাত্ৰ ভাবনা, আর তাঁর জাতীয় উন্নতি সাধনের সকল চেস্টার একমাত্র লক্ষ্য ছিল সবজাতিকে মনে ও জীবনে শক্তিশালী ও ঐশবযবান করে তোলা। এই কথাটি মনে রাখলে তাঁর সকল কথা সকল কায্যের প্রকৃত অৰ্থ আমরা বঝতে পারি। তার পর সবজাতিকে তিনি উন্নতির যে পথ দেখিয়ে দিয়েছিলেন সে পথ স্যপথ কি কুপথ তার বিচার করতে হলে রামমোহন রায় কোন সত্যের উপর তাঁর মতামতের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার সন্ধান নেওয়া আবশ্যক। পথিবীতে যে-সকল লোকের মতামতের কোনো মাল্য আছে তাঁদের সকল ১. ব্রাহ্মণসেবাঁধ (১৮২১)