পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NGO প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ কতকগালি সত্য কথা শোনাতে মনস্থ করি, তখন আমি না ভেবেচিন্তে বীরবলের নাম অবলম্বন করলাম। এ নামের দাইটি সাপটি গণ আছে : প্রথমত নামটি ছোটো, দ্বিতীয়ত শ্রীতিমধর। এ নাম গ্রহণ করে আমি সবজাতিকে বাদশাহের পদবীতে তুলে দিয়েছি, সতরাং তাঁদের এতে খশি হবারই কথা। আর মসলমান ভ্ৰাতৃগণের কাছে নিবেদন করছি যে, আমি যত বড়োই রসিক হই-না কেন, মৌলবী দো-পিয়াজার নাম গ্রহণ করা আমার শক্তিতে কুলোয় না। ইংরেজিশিক্ষিত ব্ৰাহ্মণসন্তান অকাতরে পলান্ডু ভক্ষণ করতে পারে, কিন্তু নিজেকে পলান্ডু বলে ভদ্রসমাজে BBBD BBB BBD D S DD DDDB DDD DDDD S 8 মৌলবী দো-পিয়াজার অস্তিত্ব অসিদ্ধ, প্রমাণাভাবাৎ। কিন্তু বীরবল যে এককালে সশরীরে বর্তমান ছিলেন, সে বিষয়ে আর সন্দেহ নেই; কারণ আকবরের সমসাময়িক ঐতিহাসিক মৌলবী সাহেবেরা তাঁর মন্ত্যুর বর্ণনা খাব ফাতি করে করেছেন। যার মাতুত্যু হয়েছে, সে অবশ্য এককালে বেচে ছিল। তিনি আকবরশাহের অতিশয় প্রিয়পাত্র ছিলেন। ফলে আকবরের বহর প্রসাদবিত্তদের তিনি সমান অপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। আর ইতিহাসে সেই ব্যক্তিরই নাম সস্থান পায়, যে নিন্দাপ্রশংসা দইয়েরই সমান ভাগী। বীরবলের ভাগ্যে দাই যে সমান জাটেছিল, তার পরিচয় পরে দেব । জনৈক ইংরেজ ঐতিহাসিক ফারসিভাষায় সব পাঁজিপথি ঘেটে বীরবলের আসল নামধাম উদ্ধার করেছেন। বীরবল নামটিও রাজদত্ত। বীরবলের প্রকৃত নাম ছিল মহেশ দাস। তিনি ১৫২৮ খসেন্টাব্দে কালিপ নগরে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। এই দরিদ্র ব্রাহ্মণসন্তান প্রথমে জয়পরের রাজা ভগবান দাসের আশ্রয়ে বাস করতেন, পরে রাজাবাহাদর তাঁকে বাদশাহের কাছে পাঠিয়ে দেন। মহেশ দাসের কবিতা, তাঁর সংগীত, তাঁর রসালাপ, তাঁর গল্প আকবরকে এত মগধ করে যে, তিনি তাঁকে ‘কবিরায়” উপাধিতে ভূষিত করেন । ঐতিহাসিকেরা তাঁকে কখনো আকবরের মন্ত্রী, কখনো বা প্রধানমন্ত্রী বলে উল্লেখ করেছেন। পরে আকবর,শাহ তাঁকে ‘রাজা বীরবল” উপাধি দেন, এবং সেইসঙ্গে বন্দোলখন্ডের কালাঞ্জর রাজ্য ও কাংরা প্রদেশ জায়গীর দেন। ১৫৮৬ খসেন্টাব্দে আকবর বীরবলকে সেনাপতি করে কােবল-যন্ধে পাঠান, এবং সেই যন্ধক্ষেত্রে পাঠানদের হস্তে তিনি ভাবলীলা সংবরণ করেন। ck এই-সব তথ্য আমি ইংরেজ ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট স্মিথের Akbar the Great Moghuli নামক পাসন্তক হতে সংগ্রহ করেছি। আমি পাবে বলেছি যে, বীরবলের প্রতি মৌলবী সাহেবেরা যে অত্যন্ত অসন্তুষ্টট ছিলেন তার যথেস্ট প্রমাণ আছে, এবং এ অসন্তোয্যের কারণও ছিল। আবদল কাদির নামক আকবরশাহের জনৈক ঘোর