পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাভারত ও গীতা SS DD BBBB DTBDBBB D DD DDBBBB BDD DDD DDBB DDLuBBBD শাস্ত্র হিসাবেই আবহমান কাল ব্যাখ্যা করে এসেছেন। মহাত্মা তিলক তাঁর ভাষ্যে উক্ত কাব্য অথবা সমিতির পশ্চাদশখানি পাব-টীকার যােগপৎ বিচার ও খন্ডন করেছেন। উক্ত পনেরোখ্যানিই যে সব সব সম্প্রদায় অনসারেই রচিত, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। মহাত্মা তিলকও সবসম্প্রদায় অনসারেই তার নাতন ব্যাখ্যা করেছেন। যদি জিজ্ঞাসা করেন যে, মহাত্মা তিলক কোন সম্প্রদায়ের লোক? তার উত্তর, এ যাগে আমরা সকলেই যে সম্প্রদায়ের লোক, তিনিও সেই একই সম্প্রদায়ের লোক। এ যােগ জ্ঞানের যােগ নয়, বিজ্ঞানের যােগ; ভক্তির যােগ নয়, কমের যােগ। মাকন্ডেয় পরাণের মতে, আমাদের জন্মভমি হচেছ কমভমি। ভারতবর্ষ পৌরাণিক যাগে মানষের কমভমি ছিল কি না জানি না, কিন্তু ভারতবর্ষের এ যােগ যে ঘোরতর কম যােগ, সে বিষয়ে, আশা করি, শিক্ষিত সমাজে দ্বিমত নেই। এতদ্দেশীয় ইংরেজি-শিক্ষিত সম্প্রদায়ের লোক সকলেই, জীবনে না হোক মনে, doctrine of actionএর অতি ভক্ত। সন্ন্যাসী হবার লোভ আমাদের কারো নেই; যদি কারো থাকে তো সে একমাত্র পলিটিকাল সন্ন্যাসী হবার। বলা বাহাল্য যে, পলিটিকস কর্মকান্ডের ব্যাপার, জ্ঞানকান্ডের নয়, ভক্তিকান্ডেরও নয়। সংসারের প্রতি বিরক্তি নয়, আত্যন্তিক অনারক্তিই পলিটিকসের মল। ইউরোপের সঙ্গে ভারতবর্ষের প্রধান প্রভেদ এই কি নয় যে, সে দেশের লোক “অজারামরবৎ’ বিদ্যা ও অর্থের চাচা করে, আর আমরা “গহীত ইব কেশেষ মাতুব্বনা’ ধমচিন্তা করি। আমার কথা যে সত্য তার টাটকা প্রমাণ, মহাত্মা তিলকের একটি আজীবন পলিটিকাল সহকমী লালা লাজপৎ রায় এই সেদিন সকলকে বলে গেলেন যে হিন্দধম আসলে সন্ন্যাসের ধর্ম নয়, কমের ধম ; এবং সেইসঙ্গে আমাদের সকলকে কায়মনোবাক্যে কমে প্রবত্ত করবার জন্য গীতার মাত্র দ্বিতীয় অধ্যায় পাঠ করবার আদেশ দিয়ে গেলেন, বোধ হয় এই ভয়ে যে, মনোযোগ সহকারে অন্টাদশ অধ্যায়। গীতা পাঠ করলে আমাদের কম প্রবত্তি হয়তো নিস্তেজ হয়ে পড়তে পারে। এ ভয় অমলক নয়। ইংরেজের শিষ্য আমরা যেমন কমের উপাসক, শ্রীধরের শিষ্য নীলকণ্ঠও তেমনি ভত্তির উপাসক ছিলেন, তথাপি তিনিও স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন যে ভারতে সববেদাথো ভারতাৰ্থশাচ কৃৎস্পনশঃ। গীতায়ামস্তি তেনেয়ং সর্বশাস্ত্রময়ী মতা৷ কমোপাসিতজ্ঞানভেদৈঃ শাস্ত্ৰং কাপডব্ৰয়াত্মকম। অন্যে তপোসনাকান্ডাত্ততেীয়ো নাতিরিচ্যতে৷ তদেব ব্ৰহ্ম বিন্ধি ত্বং নেদং যত্তদীপাসতে। ইতি শ্রীত্যৈব বোদ্যস্য হাইেপাস্যাদন্যতোরিতা। ইয়মস্টাদশাধ্যায়ী ক্ৰমাৎ ষটকত্রিকোণ হি। কমোপাঙ্গিতজ্ঞানকান্ডলিতয়াত্মা নিগদ্যতে ৷ , নীলকণ্ঠের এই সরল কথাই হচ্ছে সত্যকথা। গীতার প্রথম ছয় অধ্যায় যে