পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अझाउछाद्मऊ ९3 2ाऊा SYY অশ্বিলঙ্ঘিত এব বানরভািটং কিং ত্বস্য গভীরতাম। আপাতালনিমগনপীবরতনজানাতি মন্থাচলঃ৷ আর গ্ৰন্থরহস্য মধ্যে মন্দার পবতের মতো। আপাতাল-নিমজিত হওয়ারই নাম অন্তরঙ্গ পযালোচনা। মারারি কবির এই সরস উক্তিটি অবশ্য দেশী বিলেতি বহিরঙ্গ-সেবকদের কর্ণে একটা বিরস ঠেকবে। কিন্তু এ বিষয়ে যাঁরা মদমত্ত জমান পান্ডিত্যের উল্লম্মফন নিরীক্ষণ করেছেন, তাঁদের পক্ষে মারারি কবির উক্তির পােনরান্তি করবার লোভ সংবরণ করা কঠিন। কাব্যের অন্তরঙ্গের সাধনা ও বহিরঙ্গের সেবা এ দটি ব্রুিয়ার ভিতর যে শািন্ধ প্ৰভেদ আছে তাই নয়, এর একটি প্ৰযত্ন অপরটির অন্তরায়। কাব্যের ভিতর থেকে ইতিহাস উদ্ধার করতে বসলে দেখা যায় যে, তার কাব্যরস শকিয়ে এসেছে আর তার ভিতর নিমজিত ঐতিহাসিক উপলখিন্ড সব দন্তবিকাশ করে হেসে উঠেছে। আমাদের মতো কাব্যরসিকরা কাব্যের সমগ্র রােপ দেখেই মোহিত হই, অপর পক্ষে পন্ডিতরা কাব্যের রস জিনিসটিকে উপেক্ষা করেন, অন্তত জমান পন্ডিতরা কাব্যের সম্পমখীন হবামাত্র তাকে সম্বোধন করে বলেন মাইরি রস ঘিরে বোস, দাঁত দেখি তোর বয়েস কতো। এরই নাম সঙ্কলারশিপ। তবে এরকম ঐতিহাসিক কৌতহল যখন মানষের মনে একবার জেগেছে, তখন কাব্যের ঐ বহিরণ্ডগ পর্যালোচনায় যোগ দেবার প্রবত্তি দমন করা অসম্পভব, বিশেষত আধনিক বিদ্বান ব্যক্তিদের পক্ষে। অন্যে পরে কা কথা, মহাত্মা তিলকও গীতার বহিরঙ্গ পযালোচনার মায়া কাটাতে পারেন নি। তিনি তাঁর গীতাভাষ্যের পরিাশিলেট অতি বিস্তৃত ভাবেই এই বাহ্যবিচার করেছেন। এতে আমি মোটেই আশ্চৰ্য্য হই নি। এই পাশচাত্য পদ্ধতিতে শাস্ত্ৰবিচারের এ দেশে রাজা ছিলেন। সবগীয় রামকৃষ্ণ গোপাল ভান্ডারকর। আর মহাত্মা তিলক যে-পরীকে পণ্যপানাপাের বলেন, সেই পরীই হচ্ছে রামকৃষ্ণ গোপাল ভান্ডারকরের রাজধানী এবং সেই পরীতেই এ দেশের যত বড়ো বড়ো ওরিয়েণ্টালিস্ট অবতীর্ণ হয়েছেন। কমযোগে যত-সব ব্রাহ্মণ-পশিডতের উল্লেখ আছে সে-সবই মহারাষ্ট্ৰীয়, একটিও বঙ্গদেশীয় নয়। স্বয়ং মহাত্মা তিলক হচেছন এই বিলেতি-দস্তুর-পন্ডিতদের মধ্যে অগ্রগণ্য। এ বিষয়ে তাঁর কৃতিত্ব এতই অসামান্য যে, পাশ্চাত্য ওরিয়েণ্টালিস্ট সমাজেও তিনি অতি উচ্চ আসন লাভ করেছেন। পাশ্চাত্য পন্ডিতরা বিশেষ করে এই মহা প্রশন তুলেছেন যে, মহাভারতে ভগবদগীতা প্রক্ষিপত কি না। মহাত্মা তিলক এ প্রশেনর উত্তরে বলেন যে— যে ব্যক্তি বৰ্তমান মহাভারত রচনা করিয়াছিলেন তিনিই বৰ্তমান গীতাও বিবত করিয়াছেন। এ সিদ্ধান্তে তিনি অবশ্য উপনীত হয়েছেন বাহ্যপ্রমাণের বলে। কেননা তিনি এ কথা সপজটি করে বলেছেন যে