পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Stፉbታ প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ সন্ধান করতে হবে পােবভারতে। এতে এই খোঁজাখজির কাজটা অধোক কম হয়ে ܬ সৌতিকপব ভারত-কাব্যের অন্তভূতি স্বীকার করলে আমার কল্পিত বিভাগ দটি ঠিক সমান হয় না। কারণ সৌপিতকপব হচ্ছে। বতমান মহাভারতের দশম পাব। কিন্তু আসলে আমার হিসেবে ভুল হয় নি। মহাভারতের একটি পর্ব যা পবিভাগে সস্থান পেয়েছে, তা আসলে উত্তরভাগের জিনিস। আদিপব হচেছ মহাভারতের অন্তপৰ্ব্ব । ও-পবের প্রথম অধ্যায় হচেছ আমরা যাকে বলি Preface, দিবতীয় অধ্যায় Table of Contents এবং তার পরবতী কথা-প্রবেশপব হচেছ Introduction। এখন এ কথা কে না জানে যে, মািখপত্র সচি ও ভূমিকা বইয়ের গোড়াতে ছাপা হলেও লেখা হয় সবশেষে। আমার মত যে সত্য, তার প্রমাণ ‘আদি’ শব্দের ব্যাখ্যায় নীলকন্ঠ সািপলট বলেছেন আদিত্বpাস্য ন প্রাথম্যাৎ। তিনি অবশ্য এর পরে একটা কথা জড়ে দিয়েছেন, যথা কিন্তু সবেষাম্যাদিরৎপত্তিরিহ কীতৰ্য্যতে ইতি। কোনো কাব্যের গোড়াতেই কবি কখনো বিশ্ববত্ৰহ্মান্ডের উৎপত্তি কীতন করেন না। এই বিখবসতিটির বিবরণ ভারত-কাব্যের বিষয় নয়, ভারত বিশবকোষের অঙ্গ। মহাভারতের অন্টাদশ পাবকে দটি সমান ভাগে বিভক্ত করবার আর-একটি মশকিল আছে। ভারত-কাব্য সৌশিতকপবে শেষ করলে ও-কাব্যের ভিতর থেকে সত্ৰীপবর্ণ বাদ পড়ে। কিন্তু ও-পর্বকে ভারতের কাব্যাংশ থেকে আমি কিছতেই বহিস্কৃত করতে পারি নে। গান্ধারীর বিলাপ না থাকলে ভারত-কাব্যের অঙ্গহানি হয়। অপর পক্ষে ও-বিলাপকে আমি কিছতেই উত্তরভারতের অন্তভূত করতে পারি নে। এপিকের সরে যার কানে লেগেছে সে ব্যক্তি কখনোই সন্ত্রীপবর্তকে এনসাইক্লোপিডিয়ার অঙ্গ বলে স্বীকার করতে পারে না। এর প্রমাণস্বরপ আমি গান্ধারীর মাখের একটি শোলাক উদধত করে দিচ্ছি। শামশানে পরিণত যন্ধক্ষেত্রে দঃখের চরম দশায় উপনীত গান্ধারী যখন শ্রীকৃষ্ণকে বিগতেশবের কুরকুলাঙ্গনাদের একে একে দেখিয়ে দিচিছলেন, তখন তিনি নিজের কন্যা দঃশলাকে দেখিয়ে 夺ös一 হা হা ধিগদঃশলাং পশ্য বীতশোকভয়ামিব। শিরোভাতুরিনাসাদ্য ধাবমানা মিতস্ততঃ। যাঁরা শান্তিপব ও অনশাসনপর্ব লিখেছেন, তাঁরা শতসহস্ৰ শেলাক লিখলেও এর তুল্য একটি শোলাক লিখতে পারেন না। এর প্রতি কথার ভিতর থেকে মহাকবির হাত ফটে বেরচ্ছে। ভারত-কাব্যের ভিতর যদি সত্ৰীপবকে স্থান দেওয়া যায়, তা হলে সেখান থেকে আর-একটি পবকে স্থানচ্যুত করতে হয়। আমি বনপবকে পবভারত থেকে বহিস্কৃত করতে প্ৰস্তুত আছি। ও-পবের যে পনেরো-আনা