পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

क्रियाणामा ܠܬܠܬܠ পদ্ধতিতে লেখা হলেও তা অনেকের কাছে একখানি মহাকাব্য। অপর পক্ষে শেলি। BDDuD BDBBDD DD BBB DBuBDBDSDD DBDBBD DBLBBBS LBDS DD ফিলসফি অব রবীন্দ্রনাথ নামক একখানি গ্রন্থ আছে। অপর পক্ষে উপানুষদ, BDBB DDD DDDS DB DDBBB DBDBD D BB BBDD DS DDDDB BBB দাশ নিকের প্রভেদ কোথায়, intuitionএর সঙ্গে conceptএর প্রভেদ কি সে তক আজ তুলতে চাই নে, কেননা সে আলোচনা হবে। আগাগোড়া দার্শনিক, অতএব অপ্রাসঙ্গিক। উপরন্তু আমার পক্ষে সে চৰ্চা নিতান্তই অনধিকারচর্চা। আমি শােধ এই সত্যটি আপনাদের সমরণ করিয়ে দিতে চাই যে, কাব্যসমালোচক মাত্রেই কতক অংশে ফিলাসফার হতে বাধ্য। আমাদের দেশের অলংকারশাসত্র দশনশাস্ত্রের একটি শাখাবিশেষ। (গ্রীসে অ্যারিস্টটল যে শ্রেণীর লোক ছিলেন, এ দেশে অভিনবগতেও সেই শ্রেণীর লোক। উভয়েই নৈয়ায়িকী) আগে একটা দাশনিক মত খাড়া করে তার পর সেই মতানসারে কাব্যের হীনতা বা শ্রেষ্ঠত্ব নিণয় করবার চেষটা ষে ব্যথা, সে জ্ঞান আজকের লোকের হয়েছে। তাতেই ফরাসি দেশের নবযাগের সমালোচকরা নিজেদের ইমপ্রেশনিস্ট বলে পরিচয় দেন, অর্থাৎ তাঁদের মতে কাব্যবস্তু হচেছ সহৃদয়-হাদয়সংবাদী। কিন্তু সেইসঙ্গে তাঁরা এ আশাও করেন যে, তাঁদের মতামতের universal validity আছে। কোনো সমালোচকের পক্ষে এ আশা ত্যাগ করা অসম্পভব। কারণ আমি যখনই কোনো মতকে সত্য বলে মনে করি, তখনই মনে করি যে, তা সকলের পক্ষে সত্য। তেমনই, যখনই বলি এ বস্তু সন্দর তখনই এ কথাটা উহ্য রয়ে যায় যে, তা সকলের কাছেই সন্দের। ইউনিভার্সাল ভ্যালিডিটি অবশ্য দর্শনের বিষয়। সতরাং আমি রবীন্দ্রনাথের কাব্য সম্পবন্ধে যতই অদার্শনিক কথা বলি না কেন, একটা-না-একটা ফিলসফি তার মধ্যে থেকে উকি মারবে। আর সে ফিলসফি যে কত কাঁচা অথবা পচা, তা ধরা পড়বে আপনাদের দার্শনিক-চড়ামণি প্রেসিডেন্টের কাছে। অথচু কি করা যায় ? (কাব্য ম্যাজিক হতে পারে, কিন্তু সমালোচনা লজিক হতে বাধ্য। ) KO) আর-এক জাতীয় সমালোচনা আছে যার রিজনএর সঙ্গে কোনোই সম্পর্ক নেই, যা ষোলো-আনা আনরিজনএর ভিত্তির উপরেই প্রতিষ্ঠিত। এ জাতীয় সমালোচনার একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে কোনো কাব্যবিশেষের নিন্দা কিবা প্ৰশংসা করা। প্রায়ই দেখা যায়, এ নিন্দা-প্ৰশংসার মল হচ্ছে রাগ-বষ। কোনো কারণে কবি নামক মানষটির উপর বিরক্ত হলে সমালোচক তাঁর কাব্যের নিন্দা করেন এবং অন্যরক্স হলে প্রশংসা করেন। এ অনােরাগ-বিরাগ কাব্যজগতের কথা নয়; আমাদের এই চিরদিনের সমাজ-সংসারের কথা। এরকম সমালোচনার জন্মস্থান হচেছ হাদয় । আলংকারিকরা যে হািদয়ের কথা বলেন এ সে হাদয় নয়, রক্তমাংসে গড়া সেই হদয়, যা প্ৰাণী মাত্রেরই বকের ভিতর দিবারাত্র ধড়ফড় করছে। সখের বিষয়, এই মাংসপিন্ড হতে আমি কোনোরাপ মতামত উদ্ধান করতে পারি নে। তা যে পারি নে