পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিত্রাঙ্গদা। SN 9 কারণ প্রতিভা স্বপ্রকাশ। কিন্তু তা প্রকাশ করে বলবার প্রয়াস ব্যথা। এই চেষ্টা যে ব্যৰ্থ তার প্রমাণ অ্যারিস্টটল থেকে হেগেল পর্যন্ত সকল দার্শনিকই দিয়েছেন। প্রতিভার সন্ধান যে সাইকলজি নামক বিজ্ঞানের মধ্যে পাওয়া যায় না। তার প্রমাণ, ও-বস্তুর মািল কারণ একালের বৈজ্ঞানিকরা ফিজিঅ'লজির অন্তরে খাজেছেন । প্রতিভা যে একরকম insanity এ মতও ইউরোপে প্রাদভূত হয়েছে। সে মত সত্য কি মিথ্যা সে কথা আমি বলতে পারি নে। আমার বক্তব্য এই যে, প্রতিভা যদি একরকম ইনস্যানিটি হয় তা হলে এ জাতীয় ইনস্যানিটি অনেকেই বরণ করে নেবেন, অন্তত আমি তো নেব্বই। এই প্ৰতিভার পিপল্ট কাব্য হচেছ আমাদের মনকে উদ্দীপতা ও আলোকিত করা। রবীন্দ্রনাথের কাব্যের সােপশোঁ যাঁদেব মন আলোকিত হয়ে ওঠে তাঁরা রবীন্দ্রনাথের প্রতিভা নিজেই realise করেছেন, আর সে আলোক যাঁদের অন্তরে প্রবেশ করে নি। লজিকের সাহায্যে তাঁদের অন্তরের রােদ্ধ বাতায়ন উন্মস্ত করে দিতে আমি পারব না। সতরাং রবীন্দ্রনাথ একজন কবি ও মহাকবি এই কথাটি মেনে নিয়েই তাঁর একটি বিশেষ কাব্য সম্পবন্ধে আলোচনা করব। C কোনো কবিকে বড়ো কবি বলে স্বীকার করতে বাধ্য হলেও তাঁর কাব্য সম্পবন্ধে নানাপ্রকার জিজ্ঞাসা আমাদের মনে উদয় হয়। এ ক্ষেত্রে মািল প্রশন হচেছ, কাব্যের্ণ প্রয়োজন কি ? প্রশন বাহ পরাতন। আমাদের দেশে প্রাচীন আলংকারিকরা এ প্রশেনর যা হোক একটা-না-একটা উত্তর দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। আমি তাঁদেব দ-একটা মতের উল্লেখ করব। এ স্থলে বলে রাখা আবশ্যক যে, আমি ফাঁক পেলেই যে সংস্কৃত আলংকারিকদের মতামত পচিজনকে ফাতি করে শোনাই, তার কারণ এ নয় যে, আমি তাঁদের কথা এ বিষয়ে চড়ান্ত বলে বিশ্ববাস করি কিম্বা তাঁদের মতকে সব শ্রেণীঠ বলে গণ্য করি। আলংকারিক হিসাবে অ্যারিসন্টটল বড়ো কিম্ব’ দন্ডী বড়ো, হেগেল বড়ো কিম্বা বিশবনাথ বড়ো, সে বিচার করবার শক্তিও আমােব নেই, প্রবত্তিও আমার নেই। আমি যে সংস্কৃত আলংকারিকদের দোহাই দিই তাব একমাত্র কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা কই, আর সংস্কৃত কথা বাংলা ভাষার মধ্যে যত সহজে বেমালাম খাপ খায়, গ্রীক ও জমান কথা ততই সহজে সমােলম বেখাপা ३3 । এখন প্রস্তুত বিষয়ে ফিরে আসা যাক। বামনাচায িবলেছেন কাব্যং সদস্টােব্দ স্টাথমি প্রীতিকীর্তি হেতুত্বাং । বামন নিজেই উক্ত সত্রের বক্ষ্যমাণ ব্যাখ্যা করেছেন কাব্যং সচ্চার দািণ্টপ্রয়োজনমত প্রীতিহেতুত্বাৎ। আদঘণ্টপ্রযোজনাম, কীর্তিহে তুত্ব:ৎ ৷ সংস্কৃত শাস্ত্রকারেরা এত সাঁটে কথা কন যে, আমাদের পক্ষে তাঁদের রচিত স্ত্র যেমন সহজবোধ্য তার ব্যাখ্যাও প্রায় তদ্রুপ। আমি অনামান করছি যে, বামনাচাযে-ণ কাব্যের দলটপ্রয়োজন হচেছ কাব্যভোক্তার প্রীতি, আর তার অদম্পটপ্রয়োজন হচেছ