পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিত্রাঙ্গদা। SSR মানষের মন অবশ্য এই পথিবী হতে মনোমত উপাদান সংগ্রহ করে এই কলপলোক রচনা করে ; যেমন মানষে গাটিকতক পার্থিব উপাদান দিয়েই সবগ লোক অর্থাৎ সব লোককাম্য একটি অপার্থিব কলপলোকের সন্টি করেছে। এই কলপলোক বাস্তব জগৎ থেকে বিভিন্ন হলেও বিচ্ছিন্ন নয়। ভালো কথা, আমরা যাকে বস্তুজগৎ বলি সে বস্তুই বা কি ? সে জগতও তো মানষের মন রচনা করেছে। কবিতার কলপলোক ও বদ্ধির প্রকৃত লোক দইই মানবমনের সন্টি। এ দায়ের ভিতর যথাৰ্থ প্ৰভেদ এই যে, এ দটি মানবমনের দটি বিভিন্ন শক্তির রচনা। কথাটা শনে চমকে উঠবেন না। আপাতদন্টিতে যা বাহ্যবস্তু বলে মনে হয় তাকে যাচিয়ে দেখতে গেলে দেখতে পাওয়া যায়। তার অন্তরে রয়েছে logical mind I VOINT TG3s object føT TOT GRĮ subjecta fq3F3 VET SIR লজিকই মানতে বাধ্য। এই বস্তুজগৎ ওরফে মানষের কর্মভূমির যথার্থ স্রষ্টা হচ্ছে মানষের কমপ্রবত্তি। কম জগৎ ও কলপজগৎ এ দাই জগৎই সমান সত্য, কেননা আমাদের মনে যেমন কমের প্রতি আসক্তি আছে তেমনি কম জগৎ থেকে মাত্তি পাবারও আকাঙ্ক্ষা আছে। এই আকাণ্ডক্ষা চরিতাৰ্থ হয়। আমাদের সবকপোলকলিপিত ধ্যমে ও আটে। সতরাং চিত্রাঙ্গদা যো-জাতীয় সর্বপন সে সাবপেইেনরও আমাদের আন্তরিক প্রয়োজন আছে। এ প্রয়োজনের অস্তিত্ব অস্বীকার করেন শােধ সেই জাতীয় বন্ধিমান লোকেরা যাঁদের অন্তর একান্ত বিষয়বাসনার গন্ডীবদ্ধ, সে বিষয়বাসনা ব্যক্তিগতই হোক আর জাতিগতই হোক। এদের মনে কম জিজ্ঞাসার অতিরিন্ত জিজ্ঞাসা নেই। এই একচক্ষ, হরিণের দল ভুলে যান যে, মানষমাত্রই বাস করে কতকটা কম জগতে আর কতকটা সর্বপনলোকে । SO এই স্বপনকে যাঁরা সম্পপণ্য সাকার করে তুলতে পারেন, অর্থাৎ সমগ্র ও পরিচিচ্ছন্ন রাপ দিতে পারেন, তাঁরাই হচ্ছেন পােশ আর্টিস্ট। রবীন্দ্রনাথের চিত্রাঙ্গদা কাব্য মানষের যৌবনস্বপ্নের একটি অপােব এবং সবাঙ্গসন্দর চিত্র। ছবি গান ও কবিতার বিষয় আলোচনা করতে হলেই আমরা সন্দর’ শব্দটি বার বার ব্যবহার করতে বাধ্য হই- যেমন দশন ও বিজ্ঞানের আলোচনা করতে বসলে আমরা বার বার ‘সত্য’ শব্দটি ব্যবহার করতে বাধ্য হই। অথচ beauty ও truth.এর বাচ্য পদার্থের মতো অনিৰ্দেশ্য বস্তু আর ভূভারতে নেই। তাই আমরা সৌন্দবা।” শব্দের বদলে সৌন্দয্যের নানারকম উপকরণের উল্লেখ করি, যথা, মাধব ঔদাবি DBD DB BD BDBDD DDBD DBBDBDB BBDDB BBDDuD DBDDS এ-সব নামই সৌন্দয্যের বেনামি হিসাবেই ব্যবহৃত হয়। ফলে এ-সবের প্রসাদে সৌন্দয্যের অর্থ পািণ্টতর হয় না, কিন্তু সৌন্দৰ্য নামক গািণটির অনভূতি লোকসামান্য। সতরাং সেই অস্পষ্ট অনভূতির উপরই আমার এ আলোচনা প্রতিষ্ঠিত করব। আর তা করায় ক্ষতি নেই। কারণ যে-সকল দার্শনিক beauty, truth