পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S S O প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ ভারতচন্দ্রের সঙ্গে কোন কোন বিষয়ে এ যাগের সাহিত্যিকদের কতটা মিল আছে সে বিষয়ে ঈষৎ লক্ষ্য করলেই ভারতচন্দ্রের যথার্থ রােপ ফটে উঠবে। প্রথমে তাঁর জীবনচরিত আলোচনা করা যাক। বলা বাহাল্য, তাঁর জীবন সম্পবন্ধে বেশি কিছ জানা নেই। তবে তিনি নিজমখেই তাঁর জীবনের দটিচারটি মোটা ঘটনা প্রকাশ করেছেন। আমার আকরণ সমালোচক বলেছেন যে, ভারতচন্দ্র ও আমি- আমরা উভয়েই— উচ্চব্রাহ্মণবংশে উপরন্তু ভূসম্পন্ন ব্যক্তির ঘরে জন্মগ্রহণ করেছি। ভারতচন্দ্রের সম্পবন্ধে ঘটনা যে তাই, তিনি তা গোপন করতে চেন্টা করেন নি। তিনি মন্তকণ্ঠে সম্ববীকার করছেন যে ভুরিশিটে মহাকায় ভূপতি নরেন্দ্র রায় মািখটি বিখ্যাত দেশে দেশে। কহে কৃষ্ণচন্দ্রের আদেশে ৷ এখন জিজ্ঞাসা করি, কোনো লেখকের লেখা বিচার করতে বসে তার কুলের পরিচয় নেবার ও দেবার সার্থকতা কি। বিশেষত, সে বিচারের উদ্দেশ্য যখন লেখককে অপদস্থ করা। যদি পথিবীর এমন কোনো নিয়ম থাকত যে, লেখক উচ্চত্ৰাহ্মণবংশীয় হলেই তাঁকে নিম্পািনশ্রেণীর লেখক হতে হবে, তা হলে সমালোচক অবশ্য কুলজন্তু হতে বাধ্য। কিন্তু ব্ৰাহ্মণবংশে জন্মগ্রহণ করাটা তো সাহিত্যসমাজে লতাজার বিষয় নয়। ভারতচন্দ্রের পবিবতী ও পরবতী বহন কবি তো জাতিতে ব্রাহ্মণ, এবং তার জন্য তাঁদের ইতিপবে কেউ তো হীনচক্ষে দেখে নি।

  • NCIS PITÈ, ETISKIGTíg TrîFcTosca. Non-Brahmin Movement FINIS একটি ঘোর আন্দোলন চলছে, কিন্তু সে শােধ রাজনীতির ক্ষেত্রে। আমি উত্ত আন্দোলনের পক্ষপাতী। কিন্তু উত্তরাপথের সাহিত্যক্ষেত্রেও যে ব্রাহ্মণনিগ্রহের জন্য কোনো দল বদ্ধপরিকর হয়েছে, এমন কথা আজও শনি নি। সতরাং এ কথা নিভয়ে সস্বীকার করছি যে, আমিও সেই সম্প্রদায়ের লোক, যে সম্প্রদায়ের গায়ত্রীমন্ত্রে জন্মসলভ অধিকার আছে। এ বংশে জন্মগ্রহণ করাটা এ যাগে অবশ্য গৌরবের কথা নয়, কিন্তু আগৌরবের কথাও তো নয়।

সম্ভবত সমালোচকের মতে একে ব্রাহ্মণ তায় ভূসম্পন্ন হওয়াটা, একে মনসা তায় ধনোর গন্ধের সংযোগের তুল্য। ভারতচন্দ্র এ জাতীয় সমালোচকের মতে যতটা অবজ্ঞার পাত্র, কবিকঙ্কণ বোধ হয় ততটা নন। কারণ মকুন্দরাম চক্ৰবতী তাঁর চন্ডীকাব্যের আরম্পেভ এই বলে আত্মপরিচয় দিয়েছেন যে--- দামান্যান্য চাষ চাষি। কিন্তু চাষ না চাষলে যে বড়ো লেখক হওয়া যায় না, সাহিত্যজগতে তারও কোনো প্রমাণ নেই। কারণ ধানের চাষ পথিবীতে একমাত্র চাষ নয়, মানব চাষ বলেও একরকম চাষ আছে, আর সেই চাষেরই ফসল হচ্ছে সাহিত্য। অন্তত এতদিন उाछे छठन ।