পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

TST. প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ আমি ভারতচন্দ্রের জীবনী সংগ্রহ করেছি। আমার বিশ্ববাস, বসন্মহাশয়ের দত্ত বিবরণ সত্য। কারণ বঙ্গ ভাষা ও সাহিত্যের প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক শ্ৰীষন্ত দীনেশচন্দ্ৰ সেন তাঁর গবেষণাপণে গ্রন্থে প্রায় একই গল্প বলেছেন ; শােধ বসন্মহাশয়ের বঙ্গাব্দ সেনমহাশয়ের হাতে খসেন্টাব্দে পরিণত হয়েছে, এই তফাত । Git ১৭১২ খসেন্টাব্দে ভারতচন্দ্ৰ হগলি জেলার অন্তগত পোড়ো গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা নরেন্দ্রনারায়ণ রায় ভুরসন্ট পরগনার অধিপতি ছিলেন। বধমানাধিপতির সঙ্গে বিবাদে তিনি সবসবান্ত হন। ভারতচন্দ্রের বয়স তখন এগারো বছর। এই অলপ বয়সেই তিনি বিদ্যাভ্যাসাৰ্থ লালায়িত হন। পিতার বর্তমান নিঃস্ব অবস্থায় যথারীতি বিদ্যাশিক্ষার অসবিধা হওয়ায় তিনি “পলায়ন পর্বক” মাতুলালয়ে গমন করেন ; এবং তথায় সংস্কৃত ব্যাকরণ ও অভিধান অতি যত্নসহকারে অধ্যয়ন করেন। উভয় বিষয়ে বিশেষ নৈপণ্য লাভ করে তিনি চৌদ্দ বছর বয়সে পোড়োয় ফিরে আসেন। অতঃপর তাঁর বিবাহ হয়। অর্থকরী পারস্য ভাষা শিক্ষা না করে অনর্থকরী সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা করায় জ্যেষ্ঠ ভ্রাতাদের দ্বারা ভৎসিত হয়ে তিনি পনরায় গহত্যাগ করেন। তার পর দেবানন্দ পাের গ্রামের জমিদার রামচন্দ্র মনশির আশ্রয়ে থেকে তিনি অতিপরিশ্রমপবেক পারস্য ভাষা অধ্যয়ন করেন। বিদ্যাভ্যাসের জন্য তিনি অনেক কন্ট সহ্য করেছিলেন। দিনে স্বহস্তে একবার মাত্র রন্ধন করে তাই দি বেলা আহার করতেন। অনেক সময়ে বেগােনপোড়া ছাড়া আর-কিছ তাঁর কপালে জটত না। এই সময়ে ভারতচন্দ্ৰ কবিতা রচনা করতে আরম্পভ করেন। পারস্য ভাষায় বিশেষরূপে ব্যুৎপত্তি লাভ করে তিনি বিশ বৎসর বয়সে বাড়ি ফেরেন। তাঁর আত্মীয়স্বজনেরা তখন তাঁর অসাধারণ বিদ্যাবদ্ধির পরিচয় পেয়ে ভারতচন্দ্রকে পাঠান। রাজকর্মচারীদের চক্ৰান্তে ভারতচন্দ্র বর্ধমানে কারারদ্ধ হন। তার পর <rমাধ্যক্ষের কৃপায় জেল থেকে পালিয়ে কটকে মারহাটাদের সংবেদার শিবভট্টের আশ্রয়ে কিছকাল বাস করেন। পরে তিনি শ্রীক্ষেত্রে বৈষ্ণবদের সঙ্গে বাস করে শ্রীমদভাগবত এবং বৈষ্ণবগ্রন্থনিচয় পাঠ করেন। ফলে তিনি ভক্তিমান বৈষ্ণব হয়ে গেরিয়া বসন ধারণ করে। সদাসবাদা ধমীচিন্তায় কালান্তিপাত করতেন। তার পর বন্দোবনধাম-দৰ্শন-মানসে তিনি শ্ৰীক্ষেত্র হতে পদব্রজে বান্দাবন যাত্রা করেন। পথিমধ্যে খানাকুল কৃষ্ণনগর গ্রামে তাঁর শ্যালীপতি ভ্রাতার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। তাঁরই অনারোধে ভারতচন্দ্র আবার সংসারী হতে স্বীকৃত হন, এবং অথোেপাজনের জন্য ফরাসডাঙ্গায় দলে সাহেবের দেওয়ান ইন্দ্রনারায়ণ চৌধরিীর আশ্রয় গ্ৰহণ द0क्रन्म । কিছদিন পরে নবদ্বীপাধিপতি রাজা কৃষ্ণচন্দ্র টাকা ধার কববার জন্য ইন্দ্র