পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SRS8 প্রবন্ধসংগ্ৰহ জলের ভিতর কেটে গেছে। সেকালের দেশের অবস্থা যদি কেউ জানতে চান, তা হলে তিনি অন্নদামঙ্গলের গ্রন্থসমুচনা পড়ন। সেকালে এ দেশের লোকের আরামও ছিল না, বিলাসী হবার সহযোগও ছিল না। ভারতচন্দ্র বলেছেন ক্ষপে হাতে দাঁড় ক্ষণেকে চাঁদ। সে যাগে দেশের কোনো লোকের হাতে ক্ষণেকের জন্য চাঁদ আসক আর না। আসক, অনেকের ভাগ্যেই ক্ষণে হাতে দড়ি পড়ত। ভারতচন্দ্রের তুলনায় আমরা সকলেই আলালের ঘরের দালাল, অৰ্থাৎ আমরা সকলেই কলের জল খাই, রেলগাড়িতে কালীঘাটে যেতে প্রস্তুত নই ; এবং চল্লিশ টাকা মাস-মাইনেয় কাব্য লেখা দরে থাক, অত কমে আমরা কেউ মাসিক পত্রের এডিটারি করতেও নারাজ। নিজেরা আরামে আছি বলে আমরা মনে করি যে, অন্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে যাঁরা কবিতা লিখতেন, তাঁরা সব দাঁতে হীরে ঘষতেন। আর তাঁদের ঘরে রাইমাছ ও পালং শাক EIGA EJC TSSNS i G এ হেন অবস্থায় পড়লে শতকরা নিরানব্বই জন লোকের মন বিষাক্ত ও রসনা কণ্টকিত হয়ে ওঠে, এবং বিলাসীর মন তো একেবারে জীবন্মত হয়ে পড়ে। এখন দেখা যাক, সাংসারিক জীবনের এত দঃখকভাট ভোগ করে ভারতচন্দ্রের মনের আলো নিবে গিয়েছিল, না, আরো জবলে উঠেছিল। ভারতচন্দ্র তাঁর সন্ত্রীর মািখ দিয়ে যে পতিনিন্দা করিয়েছেন, সেই নিন্দার ভিতরই আমরা তাঁর প্রকৃত পরিচয় পাব। সেই নিন্দাবাদটি নিম্পেন্ন উদ্ধত করে দিচ্ছি— তা সবার দঃখ শনি -কহে এক সতী। অপােব আমার দিল্লখ কর অবগতি ৷ মহাকবি মোর পতি কত রস জানে। কহিলে বিরািস কথা সরস বাখানে ৷ পেটে অষ হেটে বসন্ত্র জোগাইতে ন্যারে। চালে খড় বাড়ে মাটি শেলাক পড়ি সারে ৷ DDL YD DDD D ODYS কত মতে কত বলে বলিহারি তার ৷ शथिा ८नाना ब्राद्धा भाद्ध ना *ब्रिनद कg। কেবল কাব্যের গণে প্রমোদের প্রভু। এই ব্যাজনিন্দা হচ্ছে ভারতচন্দ্রের আত্মকথা। ঐ কথা শানে আমরা দটি জিনিসের পরিচয় পাই : রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাসদ হয়েও তাঁর দারিদ্র্য ঘোচে নি, এবং দারিদ্র্য তাঁকে নিরানন্দ করতে পারে নি, করেছিল শােধ “প্রমোদের প্রভু"। এ প্রভুত্ব হচ্ছে ব্যাবহারিক জীবনের উপর আত্মার প্রভুত্ব। যথাৰ্থ আর্টিস্টের মন সকল দেশেই সংসারে নিলিপিত, কপিমনকালে বিষয়বাসনায় আবদ্ধ নয়। যে লোক ইউরোপে দ্বিতীয় শেকসপিয়ার বলে গণ্য, সেই Cervantes সেরা ভালেতসের জীবন বিষম