পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७ाक्रद्ध55अनु RSN মন থেকে প্রসন্ন ভাষা আবির্ভূত হতে পারে না। সতরাং প্রসাদগণ হচ্ছে আসলে মনেরই গণ, ও-বস্তু হচ্ছে মনের আলোক। NS VO ভারতচন্দ্র চেয়েছিলেন যে, তাঁর কাব্যে প্রসাদগণ থাকবে ও তা হবে রসাল। এ দই বিষয়েই তাঁর মনস্কামনা সিদ্ধ হয়েছে। গোল তো এইখানেই। যে রস তাঁর কাব্যের একটি বিশেষ রস সে রস এ যাগে অস্পশ্য। কেননা তা হচ্ছে আদিরস। উক্ত রসের শারীরিক ভাষ্য এ যাগের কাব্যে আর চলে না, চলে শুধ দেহতত্ত্ব নামক উপবিজ্ঞানে। সাদা কথায় ভারতচন্দ্রের কাব্য অশলীল। তাঁর গোটা কাব্য অশলীলা না হোক তার অনেক অংশ যে অশলীল সে বিষয়ে দ্বিমত নেই। তা যে অশলীল তা সত্বয়ং ভারতচন্দ্রও জানতেন, কারণ তাঁর কাব্যের অশলীল অঙ্গসকল তিনি নানাবিধ উপমা অলংকার ও সাধভাষায় আব্বত করতে প্রয়াস পেয়েছেন। এ স্থলে আমি জিজ্ঞাসা করি যে, তাঁর পবিবতীর্ণ বাংলা ও সংস্কৃত কবিরা কি খব শুলীল ? রামপ্রসাদ অনেকের কাছে মহা সাধকবি বলে গণ্য। গান-রচয়িতা রামপ্রসাদ নিম্পকলাষ কবি, কিন্তু বিদ্যাসন্দর-রচয়িতা রামপ্রসাদও কি তাই ? চন্ডীদাস মহাকবি, কিন্তু তাঁর রচিত কৃষ্ণকীতােন কি বিদ্যাসন্দরের চাইতেও সরচিসম্পন্ন ? এ দায়ের ভিতর প্রভেদ এই মাত্র কি না যে, বিদ্যাসন্দরের অশলীলতা আব্বত ও কৃষ্ণকীতানের অনাবািত ? আমি ভারতচন্দ্রের কাব্যের এ কলণ্ডকমোচন করতে চাই নে, কেননা তা করা অসম্পভব ও অনাবশ্যক। আমার জিজ্ঞাস্য এই যে, যে দোষে প্রাচীন কবিরা প্রায় সকলেই সমান দোষী, সে দোষেব জন্য একা ভারতচন্দ্রকে তিরস্কার করবাব কারণ কি ? এর প্রথম কারণ, ভারতচন্দ্রের কাব্য যত সপরিচিত অপর কারো তত নয়। আর দ্বিতীয় কারণ, ভারতচন্দ্রের অশলীলতার ভিতর art আছে, অপরের আছে শািন্ধ nature। ভারতচন্দ্র যা দিয়ে তা ঢাকা দিতে গিয়েছিলেন তাতেই তা ফটে উঠেছে। তাঁর ছন্দ ও অলংকারের প্ৰসাদেই তাঁর কথা কারো চোখ-কান এড়িয়ে যায় না। পাঠকের পক্ষে ও-জিনিস উপেক্ষা করবার পথ তিনি রাখেন নি। তবে এক শ্রেণীর পাঠক আছে যাদের কাছে ভারতচন্দ্রের অশলীলতা ততটা চোখে পড়ে না। যতটা পড়ে তাঁর আট । তার পর ভারতচন্দ্রের অশলীলতা গম্ভীর নয়, সহাস্য। S8 ভারতচন্দ্রের সাহিত্যের প্রধান রস কিন্তু আদিরস নয়, হাস্যরস। এ রস মধ্যর রস নয়, কারণ এ রসের জন্মস্থান হৃদয় নয়, মস্তিস্ৰক, জীবন নয়, মন । সংস্কৃত অলংকারশাস্ত্রে এ রসের নাম আছে, কিন্তু সংস্কৃত কাব্যে এ রসের বিশেষ পথান