পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হর্ষচরিত বাণভট বলেছেন সাধনাম পকতুং লক্ষীং দ্রািন্টং বিহায়সা গন্তুম। ন কুতহেলি কস্য মনশ্চরিতং চ মহাত্মনাং শ্রোতুম৷ লক্ষমীকে দেখবার লোভ আমাদের সকলেরই আছে, কিন্তু সাধ ব্যক্তির উপকার করতে অথবা মহাপরিষের জীবনচরিত শািনতে আমাদের সকলেরই সমান কৌতমহল আছে কি না বলা শক্ত। আর আকাশে উড়বার শখ আমাদের ক'জনের আছে জানি নে। যদিচ এই গরীড়যন্ত্রে, ভাষান্তরে এরোপোলনের আমলে, নিজের পকেট কিঞ্চিৎ হালকা করলেই ও-উড়োগাড়িতে অনায়াসে চড়ে হাওয়া খাওয়া যায়। বাণভট্টের যাগে, অর্থাৎ আজ থেকে তেরোশো বৎসর পাবে ভারতবর্ষের জনগণের ‘বিহায়সা গলতুম’এর যে প্রচন্ড কৌতমহল ছিল, এ কথা একেবারেই অবিশ্ববাস্য। তবে বাণভট্টের সকল কথারই যখন দ্ব্যৰ্থ আছে, তখন খাব সম্পভবত তিনি বলেছেন যে, মহাত্মার জীবনচরিত শোনা হচ্ছে মনোজগতে মাটি ছেড়ে আকাশে ওঠা- ইংরেজিতে যাকে বলে higher plane আমাদের সাংসারিক মনকে সেই ऐथळांक ८डाळला । অপর মহাপরিষদের বিষয় যাই হোক, যথা বদ্ধদেব অথবা যীশখ সন্টবাণভট্ট যে-মহাপরিষের জীবনচরিত বর্ণনা করেছেন, অর্থাৎ মহারাজ হর্ষবর্ধনের, সে-মহাপরিষের আখ্যান শোনবার জন্য এ যাগে আমাদের সকলেরই অল্পবিস্তর কৌতহল আছে। কারণ, তিনি নিজ বাহবিলে দিগ্বিজয় করে উত্তরাপথের সমাট হয়েছিলেন। এ যাগে আমাদের সামরিক এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা বিন্দমাত্র নেই ; সতরাং পরাকালে যে-যে সবদেশী রাজা ভারতবর্ষে দিগ্বিজয়ী রাজচক্রবতী হয়েছিলেন তাঁদের জীবনচরিত আমরা সকলেই মন দিয়ে শািনতে চাই। পথিবীর দাবাখেলায় এখন আমরা বড়ের জাত; তাই আমরা যদি এ খেলায় কাউকে বাজিমাৎ করতে চাই, সে হচ্ছে বড়ের চালে চালমাৎ। সতরাং আমাদের জাতের মধ্যেও যে অতীতে রাজা ও মন্ত্রী ছিলেন, এ আমাদের কাছে মহা সসমাচার। ভারতবর্ষের ইতিহাসে এ শ্রেণীর এক-রাটের দশন বড়ো বেশি মেলে না। প্রথম ছিলেন অশোক, তার পর সমদ্রগপত, আর শেষ হচেছন। হর্ষবর্ধন- আর যদি কেউ থাকেন। उा ऊिन शैऊशष्नज्ञ दर्शश्लू'उ। SR দঃখের বিষয়, এ মহাপরিষ সম্পবন্ধে কৌতহল চরিতার্থ করা আমাদের, অর্থাৎ বর্তমান যাগের ইংরেজিশিক্ষিত সম্প্রদায়ের, পক্ষে একরকম অসম্পভব বললেও अट्राजि श्न ना।