পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কথার কথা RCN অনেকটা পদাৰ্থ আছে। ইংরেজি সাহিত্যের ভাব, সংস্কৃত ভাষার শব্দ, ও বাংলা ভাষার ব্যাকরণ-এই তিন চিজ মিলিয়ে যে খিচড়ি তয়ের করি, তাকেই আমরা বাংলা সাহিত্য বলে থাকি ! বলা বাহাল্য, ইংরেজি না জানলে তার ভাব বোঝা যায় না, আর সংস্কৃত না জানলে তার ভাষা বোঝা যায় না। আমার এক-এক সময়ে সন্দেহ হয় যে, হয়তো বিদেশের ভাব ও পরাকালের ভাষা, এই দায়ের আওতার ভিতর পড়ে বাংলা সাহিত্য ফটে উঠতে পারছে না। এ কথা আমি অবশ্য মানি যে, আমাদেব ভাষায় কতক পরিমাণে নতুন কথা আনবার দরকার আছে। যার জীবন আছে, তারই প্রতিদিন খোরাক জোগাতে হবে। আর আমাদের ভাষার দেহপলিট করতে হলে প্রধানত অমরকোষ থেকেই নতুন কথা টেনে আনতে হবে। কিন্ত যিনি নতেন সংস্কৃত কথা ব্যবহার করবেন তাঁর এইটি মনে রাখা উচিত যে, তাঁর আবার নাতন করে প্রতি কথাটির প্রাণপ্ৰতিষ্ঠা করতে হবে; তা যদি না পারেন তা হলে বঙ্গসরস্বতীর কানে শােধ পরের সোনা পরানো হবে। বিচার না করে একরাশ সংস্কৃত শব্দ জড়ো করলেই ভাষারও শ্ৰীবদ্ধি হবে না, সাহিত্যেরও গৌরব বাড়বে না, মনোভাবও পরিস্কার করে ব্যক্ত করা হবে না। ভাষার এখন শানিয়ে ধার বার করা আবশ্যক, ভার বাড়ানো নয়। যে কথাটি নিতান্ত না হলে নয় সেটি যেখােন থেকে পার নিয়ে এসো, যদি নিজের ভাষার ভিতর তাকে খাপ খাওয়াতে পাের। কিন্তু তার বেশি ভিক্ষে ধার কিংবা চুরি করে এনো না। ভগবান পবননন্দন বিশল্যকরণী আনতে গিয়ে আস্ত গন্ধমাদন যে সমালে উৎপাটন করে এনেছিলেন তাতে তাঁর অসাধারণ ক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন, কিন্তু বদ্ধির পরিচয় দেন নি। Čeě s oos