পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ख्ान्नऊदर्ष' आएछ कि ना TIA করতে চাই যে, ভারতবর্ষ সভ্য- তার উত্তরে আমার বক্তব্য এই যে, ও চেন্টায় উলটাে উৎপত্তি হবারই সম্পভাবনা বেশি। মানষ। যেমন মখের জোরে নিজেকে অপরের চাইতে বেশি ভদ্র প্রমাণ করতে গিয়ে শােধর অভদ্রতারই পরিচয় দেয়, জাতিও তেমনি নিজেকে অপরের চাইতে বেশি সভ্য প্রমাণ করতে গিয়ে শােধ অসভ্যতারই পরিচয় দেয়। এর প্রথম কারণ, সভ্যতা প্রমাণ করতে হয়। হাতে-কলমে, কাগজে-কলমে নয়; কেননা ও-বস্তু আত্মপ্রতিষ্ঠিত হয় যক্তির বলে নয়, কমের ফলে। এর দ্বিতীয় কারণ, মানষি সভ্য হলেও মানষই থাকে; সভ্য মানবেরও সত্তার মলে রয়েছে আদিম মানব। সতরাং মানষ যখন অবিশবাসী লোকের সমখে নিজেকে সভ্যমানব বলে খাড়া করতে যায়, তখন প্রায়ই দেখা যায় যে, ও-ক্ষেত্রে যাকে খাড়া করা হয় সে হচ্ছে আদিম মানব; কেননা এরকম কাজ মানষে এক রাগের মাথায় ছাড়া আর-কোনো অবস্থায় করে না। প্রজ্ঞা প্রতিষ্ঠিতা থাকলে মানষে যে এ কাজ করে না, তার কারণ ও-কাজ করা হয় অনাবশ্যক, নয় নিরর্থক। সভ্যতা বলে যদি মানবসমাজে কোনোএক বস্তু থাকে, তা হলে সভ্যসমাজ মাত্রেই তার সঙ্গে পরিচিত। যা প্রত্যক্ষ, তার অস্তিত্ব প্রমাণ অনাবশ্যক। আর অসভ্যোর কাছে তার অস্তিত্ব প্রমাণ করতে যাওয়া বিড়ম্বনা, কেননা কোনো প্ৰমাণ-প্রয়োগের দ্বারা অসভ্যোর কাছে সভ্যতাকে প্রত্যক্ষ (PCS Voet NGS r মতান্তরে সভ্যতা এক বস্তু নয়, কিন্তু দেশভেদে ও কালভেদে সভ্যতা হরেক রকমের হয়ে থাকে। সভ্যতার ভিতরও বিশিষ্পটতা আছে, এবং সভ্যতায় আর সভ্যতায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে পার্থক্য এত বেশি যে, তাদের মিলন কস্মিনকালেও হবে না। এ মতের চরম বাণী হচ্ছে কিপলিঙের এই কথা The East is East and the West is West, and never the twain shall meet. এ কথা দেশে-বিদেশে অনেকে বেদবাক্য বলে গ্রাহ্য করেছেন, কিন্তু আমার কাছে বরাবর, তা নিরর্থক প্ৰলাপ বলেই মনে হয়েছে, কেননা ও-কথার অর্থ আমি কখনো বাঝতে পারি নি। সম্প্রতি বটিশ সভ্যতার একটি অগ্রগণ্য মািখপাত্রে তার ব্যাখ্যা দেখে নিশিচন্ত হলাম। SPECTATOR লিখেছেন, কিপলিঙের ও-কথার সাদা অর্থ २C5छ । Black is black and white is white. এ ব্যাখ্যা যে অতি বিশদ, সে বিষয়ে আর কোনো সন্দেহ নেই; কিন্তু সেইসঙ্গে এ বিষয়েও কোনো সন্দেহ নেই যে, সেপক্টেটর বাটিশ সভ্যতার পরিচয় দিতে গিয়ে শধ বটিশ অসভ্যতারই পরিচয় দিয়েছেন। এর পর নিজের সভ্যতার বিশিষ্টতার ব্যাখ্যান করতে সকলেরই ভয় পাওয়া উচিত। কোনো সভ্যতার বিশিষ্টতার প্রতি বিশেষ করে নজর দেওয়াতেও বিপদ আছে। ও অবস্থায় বিশিষ্টতাকেই সভ্যতা বলে মানষের সহজে ভুল হয়। অপর সমাজের সঙ্গে নিজের সমাজ যে অংশে বিভিন্ন, সেই অংশকেই নিজের সভ্যতার প্রধান অঙ্গ বলে অহংকার করবার লোভ যায়। শােধ তাই নয়, তখন সেই অঙ্গকেই যেন-তেনপ্রকারেণ রক্ষা করবার জন্য মানষ বদ্ধপরিকর হয়ে ওঠে; আর তার ফলে যদি