পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

खाद्मऊद' न्ख्या कि ना Ridd কাছে তার প্রতিটি হচ্ছে এক-একখানি কাব্য। কাব্যে-কাব্যে যে প্রভেদ থাকে। এদের পরস্পরের ভিতর সেই প্ৰভেদ মাত্র আছে। আমার মতে গ্ৰীক সভ্যতা হচ্ছে নাটক, রোমান সভ্যতা মহাকাব্য, ইহাদি সভ্যতা লিরিক এবং অবাচীন যাগের ইতালীয় সভ্যতা সনেট; আর ভারতবর্ষের প্রাচীন সভ্যতা হচ্ছে রূপকথা। সভ্যতার সঙ্গে কাব্যের তুলনা দেওয়ায় যদি কেউ আপত্তি করেন, তা হলে বলি, ও -তুলনা একটা খামখেয়ালির ব্যাপার নয়। আমরা প্রাচীন সভ্যতার যে-সব মতি গড়ি- হয় পাজা করবার জন্য, নয় মনের ঘর সাজাবার জন্য—অতীত শািন্ধ তার উপাদান জোগায়, তাও আবার অতি সবলপমাত্রায়; সেই উপাদানকে আমাদের কল্পনাশক্তি গড়ন ও রােপ দেয়, এবং সেই রােপকে আমরা আমাদের হৃদয়রাগে রঞ্জিত করি। কাব্যরচনার পদ্ধতিও ঐ । সত্য কথা এই যে, সভ্যতা হচ্ছে একটা আর্ট এবং সম্পভবত সব-চাইতে বড়ো আর্ট। কেননা এ হচ্ছে জীবনকে স্বরপ করে তোেলবার আর্ট, আর বাদ-বাকি যত-কিছ শিল্পকলা আছে, সে সবই এই মহা আর্ট হতে উদ্ভূত এবং তার কর্তৃকই পরিপন্ট। এ কথা অবশ্য বৈজ্ঞানিকেরা এবং দার্শনিকেরা মানবেন না ; কেননা বৈজ্ঞানিকের বিশ্ববাস, সভ্যতা জন্মে মাটির গণে ; আর দার্শনিকের বিশ্ববাস, ও-বস্তু পড়ে আকাশ থেকে। এদের সমরণ করিয়ে দিতে চাই যে, কাব্যের জন্মদাতা যেমন কবি, সভ্যতার জন্মদাতাও তেমনি মানষ। এ বস্তুর তত্ত্ব বিজ্ঞান-দর্শন কখনো আবিস্কার করতে পারবে না, কেননা ও হচ্ছে জীবনের একটি postulate, জ্ঞানের axiom নয়। অর্থাৎ মানষের মন ছাড়া সভ্যতার অস্তিত্ব আর কোথাও নেই। সে যাই হোক, এ ক্ষেত্রে ভারতবর্ষের সভ্যতার বিশিষ্টতা প্রমাণ করবার কোনোই প্রয়োজন নেই। উইলিয়ম আচার প্রভাতি সে বিশিষ্টতা সম্পপণ্য মানেন; আমাদের উপর তাঁদের রাগ এই যে, আমরা আমাদের প্রাচীনতা ত্যাগ করে নবীন হবার চেস্টা করছি। ফলে আমাদের সমাজ এখন হয়েছে প্রবীণ-নবীন ওরফে সভ্যাসভ্য। East এবং West যে ভারতবর্ষে meet করেছে, এই হচ্ছে আমাদের অপরাধ; কেননা এই মিলনের ফলে কতকগালি দািরন্ত সমস্যা জন্মলাভ করেছে। কিন্তু তার জন্য দায়ী কি আমরা ? পর্বোপর সভ্যতার এই মিলন ও মিশ্রণ যে একটা অদ্ভুত ব্যাপার নয়, তার প্রমাণ ইউরোপের বর্তমান সভ্যতাও তো প্রবীণ-নবীন, ইউরোপীয় পন্ডিতমশন্ডলী যার নাম দিয়েছেন antico-modern ৷ বতমান ইউরোপীয়েরা যে-অংশে ও যেপরিমাণে জ্ঞানে গ্রীক কমে রোমান ও ভক্তিতে ইহদি, সেই অংশে ও সেই পরিমাণে তারা সভ্য, এবং বাদবাকি অংশে তারা হচ্ছে শােধ সাদা মানষ। ভবিষ্যৎ সভ্যতা কেন যে অ্যান্টিকো-মডান হতে পারবে না, তা আমার বদ্ধির অগম্য। তবে এ ক্ষেত্রে ইউরোপের সঙ্গে ভারতবর্ষের একটি প্রভেদ আছে। ইউরোপ তার নবীন সভ্যতার গায়ে প্রাচীন সভ্যতার কলম বসিয়েছে, অপর পক্ষে ভারতবর্ষ তার প্রাচীন সভ্যতার গায়ে নবীন সভ্যতার কলম বসাচ্ছে। ফলে কোনটায় ভালো ফলবে,