পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবষের জিয়োগ্রাফি OSS উত্তরাপথ হচ্ছে সমতলভূমি; কিন্তু দক্ষিণাপথ মালভূমি। অর্থাৎ ইরান দেশের মতো এ দেশও হচ্ছে পবতের উপত্যকা; শািন্ধ ইরানের উপত্যকা হচ্ছে প্রায় তিন হাজার ফন্ট উচু, ও দক্ষিণাপথের হাজার ফিট। সতরাং এ পিরামিডকে পাথরেগড়া বলা যেতে পারে। এ ভূভাগে সমতলভূমি আছে শািন্ধ পশ্চিমঘাটের পশ্চিমে ও সমদ্রের উপকলে, যে দেশকে আমরা মালাবার দেশ বলি; ও পােব সমদ্রের উপকলে, যে দেশকে আমরা করমন্ডল বলি। দক্ষিণাপথের অন্তরেও কিছ, কিছ, সমতলভূমি আছে, তার পরিচয় পরে দেব। এই মালাবার দেশটি অতি সংকীর্ণ, করমন্ডল অপেক্ষাকৃত প্রশস্ত। যদি একটি বিমানে চড়ে দীর থেকে দেখা যায় তো দেখা যাবে যে, দক্ষিণাপথের পশ্চিম পাড় বেজায় মাথা উচু করে রয়েছে, পশ্চিমঘাট যেন সমদ্র থেকে ঝাঁপিয়ে উঠেছে আর করমন্ডল একেবারে সমদ্রের সঙ্গে বেমালম মিশে গেছে। এ অংশের তালীবন যেন সমদ্র থেকেই উদভূত হয়েছে। কালিদাস যে বলেছেন झाझाक्रश्नभक्लर्कानङना उन्यौ उभालऊार्लोदनबाछिनौला। আভাতি বেলা লবণামবােরাশেঃ ধারানিবন্ধেব কলঙ্করেখা ৷ সে বেলা হচ্ছে করমন্ডল কোসটি। দক্ষিণাপথের উত্তরে দটি অপােব নদী আছে, নমন্দিা ও তাপিত। নমন্দিা বিন্ধ্যপবতের উপত্যকার ভিতর দিয়ে, ও তাপিত সাতপরা-পর্বতের দক্ষিণ পাদদেশ ঘেষে পশ্চিমবাহিনী হয়ে গালফ অব ক্যাম্পেবতে পড়ছে। এ দই নদী মানষের বিশেষ কোনো কাজে লাগে না। এ নদী দটি মানষের যাতায়াতের জলপথ নয়। তার পর এদের পলিতে কোনো সমতল দেশ গড়ে ওঠে নি। এরা দটিতে মিলে সাগরসংগমের মাখে। খালি একটখানি মাটি তৈরি করেছে। এ দেশের দক্ষিণের নদী-ক’টি সবই পববাহিনী। প্রথম গোদাবরী, দ্বিতীয় কৃষ্ণা, তৃতীয় কাবেরী। এই তিনটি নদীরই জন্মভূমি হচ্ছে পশ্চিমঘাট, আর এ তিনটিই এসে পড়ছে বঙ্গ-উপসাগরে। এই তিনটি নদীর উভয় কলে অলপস্বল্প সমভূমি আছে, যেখানে ফসল জন্মায়। এই তিনটি নদীর হাতে করমন্ডল দেশ গড়ে উঠেছে। দক্ষিণাপথের ভিতর থেকে মালাবার ও কোঙ্কন যাবার কোনো পথ থাকত না, যদি না পশ্চিমঘাটের ভিতর তিনটি ফাঁক থাকত- উত্তরে থালাঘাট ও বোরঘাট, দক্ষিণে খালঘাট। এইখানেই কেইবাটোর নামক শহর। এই কোইম্বাটোরের দিয়োরই দক্ষিণাপথের অন্তরের সঙ্গে তার পশ্চিম উপকালের যোগরক্ষা করেছে। দক্ষিণাপথ ও বাংলার ভিতর আর দটি দেশ আছে- উত্তরে সেন্ট্রাল প্ৰভিনসেস ও দক্ষিণে উড়িষ্যা। সেন্ট্রাল প্ৰভিনসেন্স পাহাড় ও জঙ্গলে ভরা। উড়িষ্যার অনেকটাই সমভূমি। মহানদী এই সমভূমি গড়েছে। এ দটি দেশ সম্পভবত কখনোই দক্ষিণাভুক্ত হয় নি বলে একে উত্তরাপথের ভিতর টেনে আনা যায়। আজকাল আমরা যাকে বম্পের্ব প্রেসিডেন্সি ও ম্যাড্রাস প্রেসিডেন্সি বলি, সে দই এই দক্ষিণাপথেরই অন্তর্ভূত। শধ সিন্ধাদেশটি ববের গভর্নরের অধীন হলেও দক্ষিণাপথের অন্তর্ভূত নয়। ভারতবর্ষের উত্তরে হিমালয়ের উপরে চারিটি দেশ আছে, যেগলি ভারতবর্ষের