পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ONS SR প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ অন্তর্ভূত। পশ্চিমে কাশমীর, তার পবোঁ নেপাল, তার পর্বে সিকিম ও পােব প্রান্তে ਅਰਥ লোকের ভাষা সংস্কৃতের অপভ্রংশ, নেপালের গােখাঁদেরও তাই; অপর পক্ষে সিকিম-ভুটানের ভাষা চীনবংশীয়। এই নেপালেই পশ্চিম ও দক্ষিণ থেকে আগত আযজাতি এবং পাব ও উত্তর থেকে আগত চীনজাতি মিলেমিশে একজাতি হয়ে গিয়েছে। এ দেশে শািন্ধ দই জাতির নয়, দই সভ্যতারও মিলন ঘটেছে। তাই নেপালে বৌদ্ধধর্ম ও হিন্দধম পাশাপাশি বাস করছে। কাশমীরে অবশ্য হিন্দধম ও মসলমানধম পাশাপাশি বাস করছে, কিন্তু এই দাই ধৰ্ম পরস্পরের অপশ্য। ফলে উভয় ধমই নিজের সবাতন্ত্র্য সম্পপণ্য রক্ষা করে চলেছে। অপর পক্ষে নেপালের বৌদ্ধধমকে হিন্দধমের বিকার অথবা নেপালের হিন্দধমকে বৌদ্ধধমের বিকার বললেও অত্যুক্তি হয় না। সিকিম-ভুটানের সংস্রব আসলে বাংলাদেশের সঙ্গে। শনতে পাই, বাংলার লোকের দেহে চীনের রক্ত আছে। সেইসঙ্গে বাঙালির মনেও কিঞ্চিৎ চৈনিক ধম আছে কি না বলতে পারি। নে । দেশের পন্ডিতলোক-সব আজকাল বেদের পািনরদ্ধারের জন্য ভারতবর্ষের উত্তরপশ্চিম দেশে মহা খোঁড়াখড়ি আরম্ভ করেছেন। বেদ উদ্ধারের পর আমাদের পন্ডিতরা যদি তন্ত্রের সন্ধানে বেরোন, তা হলে, আমার বিশবাস, তাঁদের উত্তরপশ্চিম দেশকে গজভুক্ত কপিখবৎ ত্যাগ করে ভারতবর্ষের উত্তরপাবে আসতে হবে। তখন রিসার্চ ওঅক-এর পীঠস্থান হবে প্রথমে ভূটান, পরে সিকিম। তন্ত্রশাস্ত্রের পথি খািললেই পাতায় পাতায় মহাচীনের সাক্ষাৎলাভ ঘটে। সে যাই হোক, ভারতবর্ষের পশ্চিমে ইরান ও উত্তরে তুরানের মতো তার পাবে মহাচীনকেও পরাতত্ত্ববিৎ ভাষাতত্ত্ববিৎ ও নতত্ত্ববিৎরা উপেক্ষা করতে পারেন না। সম্প্রতি অবগত হয়েছি যে, পন্ডিতরা আজকাল Tarim দেশ নিয়েই উঠে-পড়ে লেগেছেন। Tarim অবশ্য চীন সাম্রাজ্যের অন্তৰ্ভুত তুকপিথানে। সতরাং আশা করা যায় যে, তাঁরা খোটান থেকে ভুটানে অচিরে নেবে পড়বেন। ভারতবর্ষের প্রকৃতি এতক্ষণে তোমরা ভারতবর্ষ নামক মহাদেশ, আর তার অন্তভুত খন্ড দেশগলির আকৃতির মোটামটি পরিচয় পেলে। এখন, তার প্রকৃতির পরিচয় সংক্ষেপে দেওয়া याद । প্রথমত ভারতবর্ষ হচ্ছে গ্রীষ্মপ্রধান দেশ। তবে উত্তরাপথেব সঙ্গে দক্ষিণাপথের এ বিষয়েও একটা প্ৰভেদ আছে । তোমরা বোধ হয় গোল্লাবে লক্ষ্য করেছ যে পিপের গায়ে লোহার পৎরার বাঁধনের মতো কতকগলি কালো কালো রেখা এই গোলকটির দেহ বেন্টন করে আছে। এই রেখাগলির ভিতর দটি রেখায় একটা বিশেষত্ব আছে। সে দটি একটানা নয়, কাটা কাটা। এ উভয়ের মধ্যে ইকোয়েটর-এর উত্তরে যে রেখাটি আছে, সেটির নাম ট্রীপক অব ক্যানসার; আর ইকোয়েটর-এর দক্ষিণে যেটি আছে, তার নাম ট্রপিক অব ক্যাপ্রিকান। সায্যের সঙ্গে পথিবীর কি যোগাযোগ আছে, তাই দেখাবার জন্য এ দটি রেখা