পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবষের জয়োগ্রাফি OS6 যতই ভরাই নে কেন। ভারতবর্ষ কখনো বিলেত হবে না। মনে ভেবো না যে আমি ধান ভানতে শিবের গীত গাইতে শার করেছি। পরাণকাররা বলেছেন যে, ভারতবর্ণ হচ্ছে। আসলে কমভূমি, আর এ দেশ সেই কমের ভূমি যে কম দেবদানবরা করতে পারেন না। এ কম হচ্ছে কৃষিকম। আর এইটিই হচ্ছে, ভারতবর্ষের জিয়োগ্রাফির গোড়ার কথা আর অন্তরের কথা। আর এই ভিত্তির উপরেই ভারতবাসীর মনপ্রাণ গড়ে উঠেছে। এ সত্য উপেক্ষা করলে সেকালের ধমশাদেরও অধিকার জন্মাবে না, একালের অর্থশাস্ত্রেও অধিকার জন্মাবে না। আর তখন তোমরা ধর্ম বলতে বাবাবে অর্থ, আর অর্থ বলতে বক্সবে ধম ; যেমন আজকালকার পলিটিশিয়ানরা বোঝেন। উদ্ভিদ N মানষের জীবন উদ্ভিদের জীবনের অধীন। উদ্ভিদের কাছ থেকে যে আমরা শােধ অন্ন পাই তাই নয়, বস্ত্রও পাই। ভারতবর্ষের বাক্ষলতা তৃণশস্য আমাদের এই দই জিনিসই জোগায়। উত্তরাপথ প্রধানত আমাদের দেয়। অন্ন, আর দক্ষিণাপথ বস্ত্র। উত্তরাপথের পশ্চিমাংশ রাটির দেশ, পবাংশ ভাতের দেশ। প্রথমত ধান জন্মায় অতিবভিটির দেশে, ও গম জন্মায় অলপবাল্টি এমন-কি, অনাবান্টির দেশে। তার পর ধানের জন্য চাই নরম মাটি, ও গমের জন্য শান্ত মাটি। বাংলার মাটিও নরম আর এখানে বন্টিও হয় বেশি, তাই বাংলা হচ্ছে আসলে ধানের দেশ। পাঞ্জাবে বলিষ্ট কম ও মাটি শক্ত, তাই পাঞ্জাবের প্রধান ফসল হচ্ছে গম। সিন্ধাদেশেও আজকাল দেদার গম জন্মাচ্ছে। অনেক উদ্ভিদের মাথায়ও জল ঢালতে হয়, গোড়ায়ও জল দিতে হয়। বান্টির জলে স্নান না করতে পেলে ধান বাঁচে না। কিন্তু খেজর গাছের মাথায় এক ফোঁটাও জল দিতে হয় না। গোড়ায় রস পেলে ও গাছ তেড়ে বেড়ে ওঠে। এ কারণ সাহারা মরভূমি ও আরবদেশই আসলে খোঁজরের দেশ। ও দাই মরভূমির ভিতর যেখানে একটা জল আছে, সেইখানেই চমৎকার খেজর জন্মায়। জানোয়ারের ভিতর যেমন উট, গাছের ভিতর তেমনি খেজর—মরভূমিরই জীব। গমের মাথায়ও বারিবর্ষণ করবার দরকার নেই। মরভূমির ভিতর নালা কেটে যদি জল নিয়ে যাওয়া যায়, তা হলেই সেখানে গম জন্মায় ও প্রচুর পরিমাণে জন্মায় । শস্যের যে শােধ পিপাসা আছে তাই নয়, খিদেও আছে। মাটির ভিতর যে রাসায়নিক পদার্থ ওরফে সাের থাকে, তাই হচ্ছে শস্যের প্রধান খাদ্য। যে দেশে বেশি। বষ্টি হয়, সে দেশের মাটি থেকে অনেক সময়ে এই সার ধয়ে যায়। মরভূমির অন্তরে কিন্তু এ সার সঞ্চিত থাকে। সেখানে অভাব শািন্ধ জলের। তাই মরভূমির অন্তরে জল ঢোকাতে পারলেই যে-সব শস্যের শােধ গোড়ায় জল চাই সে-সব শস্য প্রভূত পরিমাণে জন্মায়। সিন্ধানন্দ থেকে খাল কেটে জল নিয়ে গিয়ে সিন্ধাদেশকে qoñ ofH]]]NCII Kö(K (, ôlỡi] 3&ICg l দক্ষিণাপথের ভিতরকার মাটি আনেয়গিরি থেকে উদগত পাথর-ভাঙা মাটি। এ মাটিতে খাবার জিনিস তেমন জন্মায় না। আর দক্ষিণাপথের অপর মাটিও অতি নিরেস। মাটি, তাতে ধান জন্মায় না, গমও জন্মায় না; জন্মায় শােধ বাজাঁর আর জোয়ারি, আর তারই রাটি খেয়েই এ দেশের লোক জীবনধারণ করে। এ দল ভাগের