পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবষের জিয়োগ্রাফি V)'SQ মধ্যপথ একমাত্র পবিতশ্রেণী বিন্ধ্যশ্রেণী এত উচ্চ নয় যে, ভারতবর্ষের উত্তর-দক্ষিণকে একেবারে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে পারে। তার পর এই একদেশ এত বৈচিত্র্যপণ্য যে, এক হিসেবে একে পথিবীর সংক্ষিপ্তসার বলা যেতে পারে। ভারতবয মহাদেশটি অতি সরক্ষিত দেশ। প্রকৃতি নিজ হাতেই এ দগের পবতের প্রাকার ও সাগরের পরিখা গড়ে দিয়েছেন। তবে এ দেশ এশিয়ার অপরাপর দেশ হতে বিচ্ছিন্ন হলেও তাদের সঙ্গে একেবারে যোগাযোগশান্য নয়। পবেই বলেছি যে, উত্তরাপথের পশ্চিমে দটি প্রবেশদ্বারা আছে- উত্তরে খাইবার পাস ও দক্ষিণে বোলান পাস। অতীতে এই দাই রন্ধু দিয়ে ইরানি তুরানি শক হন। যবন বাহিক মোগল পাঠান প্রভাতি জাতিরা এ দেশে প্রবেশ করেছে, কিন্তু সহজে নয়। খাইবার পাস দিয়ে ঢািকলে পাঞ্জাবের পঞ্চনদ, পার হয়ে এসে গঙ্গাযমােনার দেশে পৌছতে হত, আর বোলান পাস দিয়ে এলে বিদেশীদের বকে মরভূমি ঠেকত। ভারতবর্ষের অন্তরে প্রবেশ করবার আসল আবার হচেছ দিল্লি নামক শহর । কারণ সেখানে মরভূমি ও আরাবলি পর্বত শেষ হয়ে শস্যশ্যামল সমভূমি আরম্ভ হয়েছে। সেই মিলনস্থানেই মোগল-পাঠানরা দিল্লি নগর প্রতিস্ঠিত করেছে। আযাদের ইন্দ্ৰপ্ৰস্থ নগরও এইখানেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আর, দিল্লির উপকণ্ঠেই ভারতবর্ষের সব প্রধান রণক্ষেত্র। কুরক্ষেত্র থানেশবর পাণিপথ এ-সবই প্রায় এক জায়গায়। পরোকালে দিল্লির গেট না ভেঙে কোনো বিদেশী জাতি ভারতবর্ষের ভিতর প্রবেশ করতে পারে নি। ফলে যে-সকল জাত ও-দিবার খলতে পারে নি। তারা হয় দেশে ফিরে গিয়েছে, নয়। সিন্ধা ও পঞ্চনদ-দেশ অধিকার করে বসেছে। ভারতবর্ষের সমদ্রকলেও দ-চারটি ছাড়া আর প্রবেশদ্বার ছিল না, আর সেক’টি বন্দর দক্ষিণাপথের পশ্চিম উপকলে; উত্তরে ভাগ কচ্ছ ও সািরপারগ এবং দক্ষিণে কালিকট ও কোচিন । এই-কাটি দেবার দিয়েই ইউরোপীয় জাতিরা জাহাজে করে সমদ্র পার হয়ে এ দেশে প্রবেশ করেছে। পোতুগিজ ওলন্দাজ ইংরেজ ও ফরাসিরা এই পথ দিয়েই ভারতবষে ঢকেছে। ভারতবর্ষে প্রবেশ করবার স্থলপথ এখন বন্ধ। খাইবার পাস এবং বোলান পাস এই দই দিয়োরই এখন দাগ দিয়ে সরক্ষিত; কিন্তু জলপথ এখন পশ্চিম দক্ষিণ ও পােব তিন দিকে খোলা। এখন ভারতবর্ষের সঙ্গে এশিয়ার যোগ ছিন্ন হয়েছে, তার পরিবতে নািতন যোগ স্থাপিত হয়েছে ইউরোপের সঙ্গে; সে যোগ অবশ্য দৈহিক নয়, মানসিক। এই এক ঘণ্টা ধরে তোমাদের কাছে ভারতবর্ষের যে মোটামটি বর্ণনা করলাম, সে বর্ণনার ভিতর থেকে তার একটা অঙ্গ বাদ পড়ে গেল। দেশের সঙ্গে মানষের সম্পক অতি ঘনিষ্ঠ। সতরাং ভারতবাসীদের কথা বাদ দিয়ে ভারতবর্ষের জিয়োগ্রাফির বর্ণনা পর্ণাঙ্গ হয় না। তবে-যে ভারতবর্ষের নানা দেশের নানা জাতীয় লোকের রপগণের পরিচয় দিতে চেন্টামাত্র করি নি, তার কারণ সে পরিচয় দেওয়া আমার পক্ষে অসাধ্য। অ্যানথ্রাপলজি নামক বিজ্ঞান আমি জানি নে, আর সে বিজ্ঞানেরও এ বিষয়ে বিশেষ কোনো জ্ঞান নেই। অ্যানথ্রাপলজি এ বিষয়ে সত্য খািজছে, কিন্তু আজও তার সাক্ষাৎ পায় নি। আজ এক অ্যানথ্রাপলজিস্ট যা বলেন,