পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৪১

তেল নন লকড়ি যেমন আমরা অতীতে বিদেশীয়তা স্বদেশীরকমে অভ্যাস করেছি, তেমনি আমাদের ভবিষ্যতে সবদেশীয়তা বিদেশী নিয়মে চর্চা করতে হবে। আমরা সাহেব হয়েছিলাম বাঙালি ভাবে। সে ব্যাপারটার মধ্যে আমাদের স্বাভাবিক ঢিলেমি এবং এলোমেলো ভাবেরই শােধ পরিচয় পাওয়া যায়। আমরা দল বোধে বিধিব্যবস্থাপবেক সাহেব হই নি। প্ৰতিজনেই নিজের খাশি কিংবা সংবিধা-অনসারে নিজের চরিত্র এবং ক্ষমতার উপযোগী হঠাৎ-সাহেব হয়ে উঠেছি। ইভগবৎগ-সমাজে আমরা সবাই স্বাধীন, সবাই প্রধান। স্বদেশী আচার-ব্যবহার ছাড়বার সময় আমরা পরিষেরা পহিলা সমিতি করি নি, এখন ফিরে ধরবার ইচ্ছেয় আমরা মহিলা-সমিতি পর্যন্ত গঠন করেছি। এই যথেস্ট প্রমাণ যে, আমাদের নতুন ভােব কাযে পরিণত করতে হলে ভাবনা-চিন্তা চাই; কি রাখব, কি ছাড়ব, তার বিচার চাই; পাঁচজনে একত্র হয়ে কি করতে পারব এবং কি করা উচিত, তার একটা মীমাংসা করা চাই; এক কথায়, ইংরেজ যে উপায়ে কৃতকায হয়েছে সেই উপায়- একটা পদ্ধতি-অবলম্বন করা DD BBBDD BBD DBB BB DDBBD DDD DD BB DBB DDB রোখের সহিত কাজ করতে গেলে দিগ বিদিক জ্ঞানশান্য হওয়াই দরকার। কিন্তু সমাজে থাকতে কিংবা ফিরতে হলে সকলেরই মানসিক গতি একই কেন্দ্রের অভিমখী হওয়া চাই, এক নিয়মে অনেককে ধরা দেওয়া চাই। আমাদের বিদেশীয়তার ভিতর হিসাব ছিল না, সবদেশীয়তার ভিতর হিসাব চাই। যে পরিবর্তনের জন্য আমরা উৎসক হয়েছি, তার বিষয় হচ্ছে প্রধানত বাহ্যবস্তু। কিন্তু সেই পরিবর্তন সমসাধ্য করতে হলে মনকে অনেকটা খাটাতে হবে। সমাজে থাকতে হলে বন্ধিবত্তির করলেই হল; ছাড়তে হলেও দরকার নেই-নিবিচারে নিয়ম লঙ্ঘন করলেই হল। কিন্তু ফিরতে হলে মানষ হওয়া চাই; কারণ যে ফেরে, সে নিজের জ্ঞান এবং বন্ধির খটি বাঙালিই হই, আমরা সকলেই এক পথের পথিক হয়েছিলাম; কেউ-বা বিপথে DD DBB BBDDS BDDSDD DB BDDB DDS BDBB BBB DDBS সম্প্রদায়ের অনেকেই বৰ্ণ চোরা বাঙালি-সাহেব। আমাদের হিন্দসমাজে শঙ্খলা অতীতে গঠিত হয়েছিল, আজকালকার দিনে নতুন অবস্থায় কতকাংশে তা সকলেরই পক্ষে শঙ্খল মনে হয়। আমরা জনকতক শািন্ধ উচ্ছঙ্খল হয়েছি, বাদ-বাকি সকলে সমাজকে বিশঙ্খল করে ফেলেছেন। সতরাং সকলে মিলেই সবদেশীয় আচারব্যবহারে ফিরে যাবার জন্য ব্যগ্র হয়েছি। সকলেই স্বেচ্ছাপ্রণোদিত, সতরাং যে পরিমাণে সাধ্য এবং উচিত সেই পরিমাণে ফিরব, তার বেশি নয়। জাতীয় জীবনের বিশেষ কোনো লক্ষ্য ছিল না বলে এতদিন আমরা গা ঢেলে দিয়ে স্রোতে ভাসছিলাম, তার ভিতর কোনো আয়াস, কোনো চেণ্টা ছিল না; এখন গম্যস্থানের একটা ঠিকানা